এরশাদ উদ্দিন নামে এক সিনিয়র সহকারী সচিবের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার এবং একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে সরকার। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এই কর্মকর্তাকে ‘লঘুদণ্ড’ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে এরশাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এতে জানানো হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে এরশাদ উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। একই বিধিমালার অনুযায়ী তাকে আগামী দুই বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমন করা হয়। অর্থাৎ তিনি ষষ্ঠ গ্রেডের বেতন স্কেলের নিম্নতম ধাপ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল বেতন পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এরশাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার এবং একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপর সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে গত বছরের ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয় এবং কৈফিয়ত তলব করা হয়। এরশাদ অভিযোগের জবাব দাখিল করেন এবং ব্যক্তিগত শুনানি চান। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত শুনানিতে বক্তব্য দেন তিনি। শুনানিতে অভিযোগের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে মর্মে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলতি বছর মার্চে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বলা হয়, এরশাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তাকে অবনমিতকরণ-সূচক ‘লঘুদণ্ড’ দেওয়া হলো। এই দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তমানে প্রাপ্ত বেতন ধাপে ফিরে যাবেন। তবে তিনি বকেয়া কোনো আর্থিক সুবিধা পাবেন না।
এরশাদ উদ্দিন ষষ্ঠ গ্রেডে এখন মূল বেতন পান ৫২ হাজার ৪৮০ টাকা। এখন অবনমন হওয়ায় পাবেন ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। সে হিসাবে তার মূল বেতন কমল ১৬ হাজার ৯৮০ টাকা।