আলোচিত প্রতারক সাহেদকে গ্রেপ্তারের তিন বছর

ফজরের নামাজের পর অল্প কিছু লোক রাস্তায় হাঁটাচলা করছিলেন। এ সময় বোরখা পরা এক ব্যক্তি লবঙ্গবতী নদীর তীর দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে যাচ্ছিলেন নদীতীরে বাঁধা নৌকায়। উদ্দেশ্য- নৌকায় উঠে নদী পেরিয়ে ভারত যাত্রা করবেন। তখনই তাকে নর্দমা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বোরখার নিচে তার পরনে ছিল জিন্সের প্যান্ট ও নীল রঙের শার্ট। কোমরে ঝোলানো তিনটি গুলিসহ পিস্তল।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই র‌্যাবের হাতে এভাবেই গ্রেপ্তার হন আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানান অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
আজ থেকে তিন বছর আগে সাহেদকে গ্রেপ্তারের এই ঘটনাস্থল সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে। এর আগেও তিনি একইভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যান। কিন্তু সেই বার মানুষের চোখ ফাঁকি দিতে পারলেও র‍্যাবকে ধোঁকা দিতে পারেননি বোরখা পরা সাহেদ।
র‍্যাবের উপস্থিতি আর ফলো করা টের পেয়ে বোরকা পরা সাহেদ কৌশলে একটি নর্দমায় লুকান। নদীতীর থেকে খানিকটা দূরে পানিতে বাঁধা নৌকাটির কাছে যখন সাহেদ পৌঁছান তখন তার হাতে র‍্যাবের হাতকড়া। মূলত নোকাটি অপেক্ষা করছিল সাহেদের জন্য। র‍্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে মাঝি আগেই পগার পার। নিজের মোটা ও ভারী শরীরের জন্য সাহেদ পেরে ওঠেননি।
তখন র‌্যাব জানায়, সাতক্ষীরার কমলপুরের ইছামতি খালের পাশে ভারতীয় সীমানা। নদীর সীমান্ত এলাকা হওয়ায় সেখানে কাঁটাতারের বেড়াও খুব দুর্বল। সাতক্ষীরায় কয়েক জায়গা বদল করে সাহেদ ওই দিন সীমান্ত পাড়ি দেবেন- এমন তথ্য পেয়ে র‍্যাব সদস্যরা সারারাত সীমান্তে ওৎ পেতে থাকেন। অবশেষে দেবহাটার রামগতি সীমান্ত এলাকার লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে তাকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। বোরকার নিচে সাহেদের পরনে ছিল জিন্সের প্যান্ট ও নীল রঙের শার্ট। কোমরে ঝোলানো একটি পিস্তল। তাতে ছিল তিনটি গুলি।
সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হন কয়েকজন মুসল্লি। তখন তারা দেখতে পান বেইলি ব্রিজের ওপারে র‌্যাবের তিনটি গাড়ি এসে থামল। এরপর র‌্যাব সদস্যরা চিৎকার করে বলতে থাকেন এই পেয়েছি। আল্লাহু আকবার। ধর ধর। এ সময় মুসল্লিরা এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান- সাহেদকে ধরেছে র‌্যাব। পরে তারা ব্রিজ পার করে এপারে নিয়ে আসেন। এপারে নদীতে একটি নৌকা আছে। সাহেদ তার স্বীকারোক্তিতে র‌্যাবকে বলেছেন- এই নৌকাতে করেই নদী পাড়ি দিয়ে তার ভারতে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
ওই ব্রিজের পাশে একটি ছোট ড্রেন দেখিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল ইসলাম বলেন, ওইখানে একটি নর্দমার মতো রয়েছে। সেই ড্রেনের ভেতরে বোরকা পরে শুয়ে ছিলেন প্রতারক সাহেদ। শোয়া অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে র‌্যাব উপস্থিত জনতার সঙ্গে কথা বলে ও ছবি তুলে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যায়।
যেভাবে সাতক্ষীরা যান সাহেদ:
২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাহেদ। করোনার দুর্যোগকালে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও টেস্ট না করে ফলাফল দেয়া, হাসপাতাল পরিচালনার সনদের মেয়াদ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। পরদিন হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুরের দুটি শাখা সিলগালা এবং সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে র‌্যাব।
নিজের গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন সময় নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে যান। বিশেষ করে নিজের শ্বশুর বাড়িতে গেলেও সেখানে আশ্রয় পাননি। এরপর যান কুমিল্লা, কক্সবাজার, মানিকগঞ্জ ছাড়াও নিজের জন্মভূমি সাতক্ষীরায়। কিন্তু কেউ তাকে আশ্রয় দেয়নি। বরং সবাই তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপরই সিদ্ধান্ত নেন পাশের দেশে পাড়ি দেবেন। সে অনুযায়ী সবকিছু ঠিকও করেন।
নৌকাযোগে ভারত যাবার কথা ছিল কিন্তু নৌকার মাঝি বাচ্চু অন্য একটি ট্রিপ (মানুষ বা মালামাল নিয়ে সীমান্তে পারাপার) নিয়ে ভারতে যাওয়ায় সাহেদের যাত্রা বন্ধ হয়। মাঝি ফিরে এসে জানান, ভোরে তাকে পার করে দেবেন। সেজন্য গতরাত থেকেই সাতক্ষীরা সীমান্তের দেবহাটার কমলপুর গ্রামের ইছামতি খালে অপেক্ষা করতে থাকেন সাহেদ। ভোরে পারাপারের কথা থাকলেও পরে তিনি র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে যান।
সাহেদ গ্রেপ্তার এড়াতে নিকটাত্মীয়দের বাড়িতে গেলেও তাকে কেউ রাখেনি। কারণ বিভিন্ন মিডিয়ায় সাহেদকে খোঁজা হচ্ছে এমন সংবাদ দেখে অনেকে সতর্ক হয়ে যান। নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই তারা এমনটি করেন। কয়েকজন আত্মীয় তাকে একবারেই বের করে দেন। তবে কয়েকজন রাত যাপনের সুযোগ দিলেও ভোরে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। এসময় সাহেদ বিভিন্ন পন্থায় একাই চলাফেরা করতেন।
সেসময় র‌্যাব সদরদপ্তরে ব্রিফিংয়ে এলিট ফোর্সটির মহাপরিচালক (বর্তমান পুলিশপ্রধান) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সাহেদের প্রতিষ্ঠানে অভিযানের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি একেক দিন একেক জায়গায় থেকেছেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজার, কুমিল্লা গেছেন বাসে। আবার সেখান থেকে ট্রাকে ও পায়ে হেঁটে সাতক্ষীরা যান।’
কে এই সাহেদ:
করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন প্রতারণার মামলার পর আলোচনায় আসেন সাহেদ। রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানের পর আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে সাহেদের নানা কুকীর্তির খবর। মো. সাহেদের পুরো নাম মো. সাহেদ করিম। বাবার নাম সিরাজুল করিম। সাহেদ গ্রেপ্তারের কদনি আগে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার ঠিকানা হরনাথ ঘোষ রোড, লালবাগ, ঢাকা-১২১১। গ্রামের বাড়ী সাতক্ষীরা জেলায়। টেলিভিশন টকশোতে নিজেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে জাহির করতেন বহুমুখী প্রতারণায় অভিযুক্ত এই ব্যক্তি। তিনি আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে সব জায়গায় পরিচয় দিতেন। সেই পরিচয় দিয়ে মো. সাহেদ বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতেও অংশ নিতেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসএসসি পাস করলেও তারপর আর পড়াশোনা করেননি সাহেদ। তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি দুই বছর জেলে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ২০১১ সালে ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডে শুরু করেন এমএলএম কোম্পানি।
অভিযোগ আছে, বিডিএস ক্লিক ওয়ান নামের ওই কোম্পানির শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া উত্তরা পশ্চিম থানার পাশে গড়ে তুলেছিলেন রিজেন্ট কলেজ ও ইউনির্ভাসিটি, আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটি। এর একটিরও কোনো বৈধ লাইসেন্স ছিল না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আর অনুমোদনহীন আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটির ১২টি শাখা করে হাজার হাজার সদস্যদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে সাহেদের বিরুদ্ধে।
গ্রেপ্তারের পর যত অভিযোগ মেলে:
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পরই বেরিয়ে আসতে থাকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অপকর্মের নানা ফিরিস্তি। তার অপকর্মের সীমা শুধু হাসপাতালের মধ্যেই ছিল না। দেশব্যাপী বিস্তৃত ছিল তার প্রতারণার জাল। চাকরি দেয়ার নামে হাজারো মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসায় করে গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি আদায়ের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া নিজস্ব টর্চার সেল, পাওনা টাকা চাইতে এলে নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ উঠে আসে সাহেদের বিরুদ্ধে।
সাহেদ গ্রেপ্তারের পর র‌্যাবের পক্ষ থেকে হটলাইন নম্বর খোলা হয়। সেসময় করোনা পরীক্ষার নামে জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে ১৬০টি অভিযোগ পায় র‌্যাব। যারমধ্যে ফোন কলের মাধ্যমে অভিযোগ আসে ১৩৯টি আর বাকি অভিযোগ ইমেইলের মাধ্যমে আসে। এসব অভিযোগের মধ্যে- চাকরির আশ্বাসে অর্থ আত্মসাৎ, বদলি তদবির, রিকশা-ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স প্রদান, পদ্মা সেতু প্রকল্পে পাথর-বালু, বিটুমিন সাপ্লাইয়ের নামে প্রতারণা অন্যতম। এমনকি জেল থেকে হাজতি ছাড়াতেও বিভিন্নজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন আলোচিত এই প্রতারক। এছাড়া সাহেদের বিরুদ্ধে ৪৮টি মামলার সন্ধান পায় র‌্যাব। সাহেদ গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব তিনটি ও ডিবি পুলিশ আরও চারটি মামলা করে। সবমিলিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে ৬০টির বেশি মামলা আছে। এরই মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
সবাইকে ঠকাতেন তিনি:
সাধারণ মানুষ আর ছোট-বড় ঠিকাদারই নয়, বড় বড় প্রভাবশালী শিল্পপ্রতিষ্ঠানও বাদ যায়নি সাহেদের প্রতারণা থেকে। দেশের বৃহৎ সিমেন্ট উৎপাদন কোম্পানি শাহ সিমেন্ট থেকে স্বনামধন্য ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারক ট্রান্সকম লিমিটেড পর্যন্ত রয়েছে তার প্রতারণার শিকারের তালিকায়। আর ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য ‘রিজেন্ট গ্রুপ’ নামটাই হাইজ্যাক করে নিয়েছেন সরকারি নথিতে উল্লিখিত ‘ভয়ংকর প্রকৃতির লোক’টি।
এসব প্রতারণা করতে গিয়া সাহেদ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর এডিসি বা রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দিতেন। এতে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস করত না কেউ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো একটি চিঠি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এডিসি ছিলেন বলে পরিচয় দিতেন সাহেদ।
প্রধানমন্ত্রীর পিএস পরিচয় দিয়ে সাহেদ গত বছর পদ্মা সেতুতে পাথর সরবরাহ করার কথা বলে বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে পাথর কিনতে থাকেন সিলেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ব্যবসায়ীরা পাথর পাঠান আর সাহেদ তা বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে নগদ বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেন। ওদিকে পাথর সরবরাহকারীদের সাহেদ যে চেক দেন ব্যাংকে তা প্রত্যাখ্যাত হতে থাকে। এ ঘটনায় উত্তরা থানায় জিডি এবং সিলেট আদালতে মামলা করেন এক ব্যবসায়ী।
ভয়ঙ্কর প্রতারক সাহেদ:
সাহেদ গ্রেপ্তারের আগে নিজেকে আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্র উপকমিটির নেতা দাবি করতেন। বিভিন্ন টিভিতেও এই পরিচয়ে টকশোতে অংশ নিতেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় নিজেকে সেনা কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর এডিসি বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। বিশেষ করে তার সঙ্গে অনেকের ছবি পাওয়া যায়। এসব ছবিকে পুঁজি করে সকলের ফোকাস পাবার চেষ্টা করত। ছবি ব্যবহার করে খুব দ্রুত অর্থশালী হবার জন্য বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল।
এদিকে সাহেদের বিরুদ্ধে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২৯ পাতার অভিযোগপত্রটি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অপরাধ তথ্য প্রসিকিউশন বিভাগে জমা দেয়া হয়। তদন্তে সাহেদের মোট ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ২ কোটি ৩ লাখ টাকা আদালতের নির্দেশে জব্দ রয়েছে। আত্মসাৎকৃত অর্থের গন্তব্য শনাক্তের পর সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

Check Also

আশাশুনিতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ব্যবসা পর্যালোচনা ও কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান(আশাশুনি)সাতক্ষীরা।।আশাশুনিতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবসা পর্যালোচনা ও কর্মী সভা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।