ক্রাইমবাতা রিপোট: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
এদিন সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিত ছিল একেবারেই কম।
এ আসনের মোট ভোটার তিন লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৬০৫টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়।
দিনভর শান্তিপূর্ণ ভোট চললেও বিকালে ভোট শেষে ঘণ্টাখানেক আগে এক কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
আলোচিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তার মৃত্যুতে আসনটি ফাঁকা হয়। ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, গুলশান এলাকা নিয়ে গঠিত রাজধানীর এ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিলেও বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই নেই।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আটজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙ্গল), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল), তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন (ডাব) এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন (ছড়ি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম হিরো আলম (একতারা) এবং মো. তারেকুল ইসলাম ভূঞা (ট্রাক)।
এদের মধ্যে ‘অনিয়ম’ ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতার’ অভিযোগ তুলে ভোট শুরুর এক ঘণ্টার মাথায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেকুল ইসলাম ভূঞা। আর হামলার পর বিকালে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম।