পঞ্চগড়ে চা বাগানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জেলায় ছোট বড় মিলে বিভিন্ন পরিসরে প্রায় ৯ হাজার চা বাগান গড়ে উঠেছে।
নতুন এই শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, বছরে অন্তত ২৮০ কোটি টাকা আয় হচ্ছে।
পনের বছর আগেও এই জমিতে তেমন কোন ফসল ফলত না। উঁচু জমি হওয়ায় ধানের ফলনও এখানে ভালো হতোনা।
কিন্তু এখন যেদিকেই চোখ যায় একরের পর একর জমিতে শুধু চায়ের বাগান। পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ার সমতল ভূমির প্রতিটি এলাকা এখন চা সমৃদ্ধ। অনেকেই বাড়ির সামনের ছোট জমিতেও করেছেন চায়ের আবাদ।
১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম পঞ্চগড়বাসীকে চা চাষের স্বপ্ন দেখান। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালে এই জেলায় প্রথম চা চাষ শুরু হয়। ২০০৬ সালে বিএনপি আমলে পঞ্চগড়ে চাষ হতো ৯২৫ একর জমিতে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর, তা বেড়ে দাড়ায় ১২ হাজার ৭৯ একরে। চাষীদের প্রণোদনা দেয়ার সাথে সাথেই, ১৩ গুণ বেড়ে যায় চা চাষ।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, গেলো ১৪ বছরে চায়ের নতুন জেলার স্বীকৃতি পেয়েছে পঞ্চগড়। একটি কারখানা থেকে হয়েছে একাধিক কারখানা। এই শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়েছে। অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে এই শিল্প।
২০০৬ সালে যেখানে মাত্র এক হাজার ৪৭৫ জন শ্রমিক এই শিল্পের সাথে জড়িত ছিল, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ শিল্পের সাথে বর্তমানে জেলার প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক সংযুক্ত রয়েছে। বেড়েছে সবারই জীবনমান।
পঞ্চগড়ের চা শিল্প থেকে বছরে অন্তত ২৮০ কোটি টাকা আয় হচ্ছে, যা চা খাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়।