ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন কোনো সংলাপের উদ্যোগ নেবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর সংলাপের জন্য ডাকা হলেও বিএনপিসহ অনেক দলই আসেনি। এখন আর সংলাপের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিকভাবেই সমাধান হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিছুর রহমান বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার দায়িত্বভার নেওয়ার চার মাস পরই নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডাকে কমিশন। কিন্তু বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো তা বর্জন করে। ফের সংলাপের উদ্যোগ নিলেও তাদের সাড়া পায়নি কমিশন। চিঠি পাঠিয়েও জবাব মেলেনি।
নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা ২৬ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছি আপত্তি জানানোর জন্য। যারা নিবন্ধনের যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে মনে করে কিন্তু নিবন্ধন পায়নি তাদের আপত্তি জানানোর জন্য। কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছে। কালকের পরে আমরা এটা নিয়ে বসব। তাদের (রাজনৈতিক দল) ক্ষোভ থাকতেই পারে। এরপর বলা যাবে। কে ঘেরাও করতে আসছে? তার ঘেরাও করার অধিকার আছে। করুক। যদি কেউ ঘেরাও করে আমরা ঘেরাও হয়ে থাকব, অসুবিধা নেই।
সংলাপের আর কোনো উদ্যোগ নেই জানিয়ে কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, এখন আর সংলাপ নিয়ে ভাবছি না। আমাদের সংলাপের আর প্রয়োজনিয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিকভাবেই সমাধান হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিকভাবে সমাধান চাই। তবে রাজনৈতিক বিষয়ে আমাদের এখতিয়ার নেই। রাজনীতির মাঠেই সমাধান হবে। আমরা তফসিল নির্বাচনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাব।
তফসিল নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে আনিছুর রহমান বলেন, অক্টোবরের কথা বলছি না। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন বা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে করি তাহলে ৪৫ দিন আগেই করতে হবে। সামনে আর উপ-নির্বাচন করতে হবে না।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, গণঅধিকার পরিষদ কী করবে? আমাদের ঘেরাও করলে ঘেরাও হয়ে বসে থাকব। বিচলিত হব না। সারাদেশেই তো রাজনৈতিক কার্যক্রম চলছে। স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে হয়ত সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে। চলাচলের সমস্যা হবে।