সিলেট নগরে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলো জামায়াতে ইসলামী। সেজন্য তারা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে প্রস্তুত ছিলেন সিলেট নগর জামায়াত নেতারা। তাদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দিনভর রণসাজে ছিলো পুলিশ। পুলিশের একাধিক ইউনিট নগরে টহল জোরদার করার কারণে জামায়াত বিক্ষোভ বের করতে পারেনি।
এদিকে শুক্রবার বিক্ষোভ করতে না পেরে শনিবার সকাল ১০টায় জামায়াতে ইসলামী সিলেটে বিক্ষোভ করেছে। তাদের বিক্ষোভকে ঘিরে নগরে উত্তেজনাও দেখা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন- সকালে নগরীর বন্দরবাজার এলাকা থেকে হঠাৎ মিছিল বের করে মহানগর জামায়াত। মিছিলটি জেলরোড হয়ে নয়াসড়ক পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে সমাবেশ শেষ করে জামায়াত নেতারা ওই এলাকা থেকে সরে যান।
সমাবেশে নগর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন- স্থানীয় প্রশাসন সিলেটের দীর্ঘদিনের লালিত রাজনৈতিক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে কলংকিত করেছে। এর পরিণতি ভাল হবে না। তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নেমেছে। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে জামায়াত রাজপথে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও আলেম-উলামাদের মুক্তি দিন। জামায়াতের সভা সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করুন।
মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, জেলা উত্তরের আমীর হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, জেলা উত্তরের সেক্রেটারী ও জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জামায়াত নেতা এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, আব্দুল কাইয়ুম, নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী, মাওলানা মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি সিদ্দিক আহমদ ও সেক্রেটারী শরীফ মাহমুদ প্রমুখ।