নোংরা জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অনেকদিন আগেই। কিন্তু সাবেক পর্নো তারকা মিয়া খলিফা নিজেকে নোংরামি থেকে মুক্ত করতে পারেননি। তিনি সেই শরীর দেখানোকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। একসময় পর্নো ছবিতে অভিনয় করতেন। কিন্তু সে জগত থেকে বেরিয়ে এসেছেন। অনেকেই মনে করেছিলেন, মার্জিত একটি জীবন বেছে নেবেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তিনি যেসব কাণ্ড ঘটিয়ে বেড়াচ্ছেন, তা কতটা মার্জিত তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। সম্প্রতি তিনি লন্ডন সফর করেছেন। কিন্তু যেসব ছবির পোজ সেখানে দিয়েছেন, তা কোনো রুচিশীল সমাজে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। একই কাজ করছেন অন্যসব জায়গায়।
তার পুঁজি সেই শরীর। শরীরকে বিভিন্নভাবে প্রকাশ ঘটিয়ে উপার্জন করছেন। এক্ষেত্রে তিনি বিদেশি বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন করছেন। সর্বশেষ নিজের টুইটারে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে তাকে দেখা যায় উলের কোট পরিহিত। কিন্তু মানুষ যেজন্য পোশাক পরে, সেই ‘প্রাইভেট অংশ’গুলো বিকশিত হয়ে আছে। এমনকি ভিতরে কোনো অন্তর্বাসও পরেননি। কোটি যুবকের বুকে কাঁপন ধরানো এই যুবতী শরীরের উন্মুক্ত স্থানগুলো গাছের পাতা দিয়ে কোনোমতে ঢেকে লজ্জা নিবারণ করেছেন। অথচ তার গায়ে বিলাসবহুল ফ্যাশন ব্রান্ড ‘লোউয়ি’র উলের কোট। বিশাল মাপের সানগ্লাস চোখে। আর আছে কালো হাইহিল পায়ে। বিদেশি মিডিয়া বলছে, গাছের পাতা দিয়ে তিনি কোনোমতে লজ্জা নিবারণ করেছেন, অনেকটা সেই ‘এডাম-ঈভ’র মতো দেখতে। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, একমাত্র উল আপনাকে দিতে পারে লোউয়ি।
মিয়া খলিফার ভক্তের সংখ্যা ৫০ লাখ। তারা এই ছবি পোস্ট করার পরই তারা মন্তব্য করতে শুরু করেন। একজন লিখেছেন, এটা ভুয়া উল, তাই না? কিন্তু তোমাকে সবসময় নিষিদ্ধ এক আকর্ষণীয় সুন্দরীর মতো দেখায়। আরেকজন লিখেছেন, কি সুন্দর, ভালবাসি এই আর্টিস্টিক শট। আর একজন লিখেছেন, ও আমার মিয়া, তোমাকে কি সুন্দর নজরকাড়া দেখাচ্ছে!