শেদ খান মেনন। সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সাবেক মন্ত্রী। বামপন্থি এ রাজনীতিক মহাজোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সরকারের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করছেন জোটে থেকেও।
রাজনীতির চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু।
জাগো নিউজ: সম্প্রতি ১৪ দলের বৈঠকে মুখপাত্র আমির হোসেন আমু রাজনৈতিক সংলাপের কথা উড়য়ে দিয়েছেন, যেখানে আপনিও উপস্থিত ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে কি আসলে সংলাপের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায়?
রাশেদ খান মেনন: সংলাপের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কী ঘটবে তা আমি কীভাবে বলবো? যা ঘটাবার বিএনপি ঘটাচ্ছে।
জাগো নিউজ: ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে আর ২০১৮ সালে অংশ নিয়ে বিএনপি তো এখন এক ধরনের অবস্থান নিয়েছে। এই সরকারকে আর কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে চাইছে না।
রাশেদ খান মেনন: ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জোট মূলত কার্যকরভাবে অংশ নেয়নি। আমার নির্বাচনী এলাকায় দেখেছি, বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস নির্বাচনী মাঠে নামেনইনি। তারা কোনো প্রচারণাও চালায়নি।
জাগো নিউজ: সেই সুযোগ ছিল? সরকার তো কোণঠাসা করে রেখেছিল?
রাশেদ খান মেনন: কেন সুযোগ থাকবে না? আমার এলাকায় তো কোনো বাধা-বিপত্তির ঘটনা ঘটেনি।
রাশেদ খান মেনন: এমন অভিযোগ সব নির্বাচনের আগেই করা হয়।
জাগো নিউজ: বিএনপি-জামায়াত এখন যে শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে, তা কীভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন?
রাশেদ খান মেনন: আমেরিকা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। নির্বাচনের আগেও সে পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, আবার নির্বাচনের পরেও করতে পারে। কম্বোডিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে সরকারপ্রধানের পতন ঘটালো। গত সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটলো।
আমেরিকা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। নির্বাচনের আগেও সে পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, আবার নির্বাচনের পরেও করতে পারে। কম্বোডিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে সরকারপ্রধানের পতন ঘটালো। গত সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটলো।
জাগো নিউজ: এমন আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে?
রাশেদ খান মেনন: যুক্তরাষ্ট্র সে লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে চাইছে।
জাগো নিউজ: এতে বিএনপির কী লাভ?
রাশেদ খান মেনন: লিখে রাখেন, শেখ হাসিনার পতন ঘটলেও বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না।
জাগো নিউজ: তাহলে কে আসবে ক্ষমতায়?
রাশেদ খান মেনন: বিএনপি চাইছে অন্য কেউ ক্ষমতায় আসুক। বিষয়টি এমন যে, ‘আমিও খাবো না, তোমাকেও খেতে দেবো না’।
জাগো নিউজ: আপনার এ ধারণার বিপরীতেও আলোচনা আছে। অনেকেই মনে করছেন আপনারাও ‘এক্সিট রুট’ খুঁছছেন?