ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের চকরিয়া ও উখিয়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় একই পরিবারের দুই শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়ন ও উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জামান জানান, এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সোমবার বিকালে বরইতলী ইউনিয়নে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আনোয়ার হোসেনের ঘরের দেয়ালে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে তার ৫ বছর বয়সী ছেলে সাবির ও ১ বছর বয়সী মেয়ে তাবাবসুম চাপা পড়ে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই দিন উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৯-এ পাহাড় ধস হয়েছে। এতে মাটি চাপা পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্প- ৯-এর এ/৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- ক্যাম্প-৯-এর এ/৬ ব্লকের আনোয়ার ইসলামের ছেলে জান্নাত আরা (২৮) ও তার দুই বছর বয়সী মেয়ে মাহিম আক্তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপ-অধিনায়ক এসপি ফজলে রাব্বী।
তিনি জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পাহাড় ধসে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও এপিবিএন সদস্যরা মাটি চাপা পড়া অবস্থা দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে সোমবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা শাহী কলোনিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন কার্যালয়ের প্রহরী মোহাম্মদ হানিফের ঘর ভেঙে যায়। যদিও এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ফলে বন্ধ আছে অভ্যন্তরীণ যান চলাচল।
গত ১ আগস্ট থেকে বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে। এতে নগরীর প্রধান সড়কের কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর, আবার কোথাও বুক ছুঁই ছুঁই পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্লাস-পরীক্ষাও আগামী তিন দিন (১০ আগস্ট পর্যন্ত) বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।