জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংগঠনটির বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
এর পর থেকেই ছাত্রদল সভাপতি রওনকুলকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। ছাত্রদলের সিনিয়র নেতাদের দাবি, শ্রাবণ শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন এবং মঙ্গলবার তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও গেছেন। এমন একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, ছাত্রদল সভাপতি শ্রাবণ সংগঠনের মধ্যে গ্রুপিং জিইয়ে রেখেছেন। যার কারণে সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
এ ছাড়া গত ২ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে দল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলেও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেশ পরেবর্তী সময়েও অব্যাহত থাকে, যা একপর্যায়ে দলের হাইকমান্ডেরও নজরে আসে। এ জন্য ছাত্রদল সভাপতিকে দায়ী করেন অনেকে।
তা ছাড়া গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেভাবে নামেননি। এ জন্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সভাপতির সাংগঠনিক ব্যর্থতাকেও দায়ী করা হয়। তা ছাড়া ছাত্রদল সভাপতির ওই দিন ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা এলাকায় থাকার কথা ছিল।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি সেখানে যাননি। বিকালের দিকে তিনি খিলক্ষেত এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্বে অবহেলার কারণেই মূলত শ্রাবণের বিরুদ্ধে এই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে দাবি অনেকের।
এদিকে একদফার আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে, সেই সময় আন্দোলনের মূলচালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত ছাত্রদলের সভাপতিকে এভাবে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ভালোভাবে নেননি অনেকে।
তারা ধারণা করছেন, এ মুহূর্তে ছাত্রদল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে আন্দোলনে।
তবে এ বিষয়ে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সঙ্গে যুগান্তরের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।