দেশ যেপথে অগ্রসর হচ্ছে তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেশির ভাগ বাংলাদেশি। তারা সমর্থন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। একই সঙ্গে বিরোধী দলের সমর্থনও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আহ্বানও সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশজুড়ে নতুন এক জরিপ পরিচালনা করে এসব কথা বলেছে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চ (সিআইএসআর)। এতে বলা হয়েছে, দেশ যে পথে অগ্রসর হচ্ছে তাতে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার শীতকালীন জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার তার জনসমর্থন ধরে রেখেছে। অন্যদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিরোধীদের জনপ্রিয়তা। জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে শতকরা ৯২ ভাগ বলেছেন, তারা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই জরিপ রিপোর্টটি ৫৮ পৃষ্ঠার। এতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের পর প্রথমবার আইআরআইয়ের জরিপে দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ বাংলাদেশি বিশ্বাস করছেন দেশ ভুলপথে এগুচ্ছে।
শতকরা মাত্র ৪৪ ভাগ মানুষ বলেছেন দেশ সঠিক পথে এগুচ্ছে। ২০১৯ সালে এমনটা মনে করতেন শতকরা ৭৬ ভাগ মানুষ। এই হতাশা বৃদ্ধির প্রাথমিক কারণ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন বলেছেন, তার স্বামীর বেতন বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিনই।
জরিপে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পারফরমেন্সকে সমর্থন করেন বেশির ভাগ বাংলাদেশি। এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারফরমেন্স অনুমোদন (এপ্রুভ) করেন শতকরা ৭০ ভাগ বাংলাদেশি। অন্যদিকে বিরোধীদের পারফরমেন্স ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে অনুমোদন বা সমর্থন করতেন শতকরা ৩৬ ভাগ বাংলাদেশি। সেই সমর্থন এই জরিপে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ৬৩ ভাগ।
এই জরিপ রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোগ দিতে আগ্রহী বাংলাদেশিরা। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৯২ ভাগ বলেছেন, তারা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে চান। শতকরা ৫৭ ভাগ বলেছেন তারা খুব বেশি আশাবাদী ভোট দেয়ার ব্যাপারে। যারা ভোট দিতে আগ্রহী নন তারা কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন- নির্বাচনে জালিয়াতি এবং ভোটার রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ইস্যু। শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সমর্থন করেন। বেশির ভাগই মনে করেন, নির্বাচনকালীন প্রশাসন যা-ই হোক, নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত বিরোধীদের।