শাহীন বিশ্বাস, পাটকেলঘাটা: খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা বড় ব্রিজের উপর দীর্ঘদিন ধরে পিচ খোয়া উঠে গিয়ে আবারও অগনিত বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জননপদ বিভাগের পুটিংয়ের ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই। যানবাহন চলাচল করছে ঝুকি নিয়ে।
১৯৫৭ সালে ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন আইয়ুব খান। ব্রিজটি নির্মান করতে সময় লাগে দীর্ঘ ৮বছর। ১৯৬৫ সালে ব্রিজটি উদ্ভোধন করেন তৎকালীন সময়ের সামরিক সরকার। ব্রিজটির মেয়াদ বর্তমানে ৫৮ বছরে পদার্পন করেছে। কিন্তু ব্রিজটি এখনও খুবই মজবুত রয়েছে।
১৯৭১ সালে বীর বাঙালির দামাল সন্তানেরা দেশ স্বাধীন করার জন্য পাকিস্তান খান সেনাদের সাথে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। খানসেনারা যখন পরাস্ত হচ্ছে তখন তাদের নির্মান করা পাটকেলঘাটা ব্রিজটি যুদ্ধ বিমান থেকে ডেনামাইট দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এতে ব্রিজের পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ফেটে যায়। ঐ সময় যানবাহন ও জনসাধারন চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীন বাংলার প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চের নির্বাচনের পরে ক্ষমতায় বসার পর উক্ত ব্রিজের অর্ধেক অংশ পূনরায় নির্মান করেন। কিন্তু সাতক্ষীরা স্থলবন্দর ভোমরা থেকে ট্রাক গুলি মালামাল নিয়ে উক্ত ব্রিজের উপর দিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গমন করে।
এছাড়া ঢাকাগামী পরিবহন, লোকাল বাস, মাইক্রো, পিকআপ, ১০ চাকার ট্রাক ৪০-৪৫ টন মালামাল নিয়ে, ৬ চাকার ট্রাক ৩০ টনের মত মালামাল নিয়ে চলাচল করে। গাড়ির চাকাগুলি যখন ঐ গর্তের মধ্যে পড়ে তখন ব্রিজটা থরথর করে কাঁপে।
এদিকে রাধের আঁধারে অনেক ভ্যান সাইকেলগুলি ব্রিজের গর্তের মধ্যে পড়ে ভেঙ্গে যায়। এসময় সাইকেল ও ভ্যান চালকরা আহত হয়। মোজাহার কোম্পানি ব্রিজের উপর কার্পেটিং করেছে যার মেয়াদ ১বছর না হতেই ব্রিজের উপর অগনিত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহুর্তে ব্রিজের উপরের গর্তগুলো যদি পুটিং না করা হয় তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তখন এই ক্ষতির দ্বায় দায়িত্ব কে নেবে ?