দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এই বিভাগে মোট ৩৬ আসন রয়েছে। এসব আসনে বড় দুই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেক। আওয়ামী লীগের ১৫২, বিএনপির ১শ, জাতীয় পার্টির ৪২ এবং অন্যান্য দলের ৩৩ জন প্রার্থী হতে চান। প্রত্যেকেই নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন। আর বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সরকারের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে পরিবর্তনের কথা বলছেন। বড় দুই দল ছাড়াও জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নানা আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে দলগুলোর নীতিনির্ধারকরা কাদের বাছাই করবেন তা নিয়েও রয়েছে নানা মত।
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি ও দলীয় হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল, সংরক্ষিত আসনের এমপি অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ও শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, শেখ আবুল হোসেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান। এ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী আমীর এজাজ খান। জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায়, সিপিবির অশোক কুমার সরকার এবং ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবু সাঈদ প্রার্থী হতে চান।
খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাবেক এমপি আলী আজগর লবী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা। আর জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- অ্যাডভোকেট মহানন্দ সরকার ও অ্যাডভোকেট অচিন্ত কুমার দাস।
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এসএম কামাল হোসেন, বর্তমান সেনাপ্রধানের বোন ও প্রয়াত যুবলীগ নেতা শহীদ ইকবাল বিথারের স্ত্রী অধ্যাপক রুনু রেজা, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ফারুক হোসেন হিটলু। এছাড়া বিএনপির রকিবুল ইসলাম বকুল, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুল গফফার বিশ্বাস এবং ইসলামী আন্দোলনের শেখ হাসান ওবায়দুল করিম প্রার্থী হতে চান।
খুলনা-৪ (রূপসা-দিঘলিয়া ও তেরখাদা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, অ্যাডভোকেট সুজিৎ অধিকারী, শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, এসএম শফিকুর রহমান পলাশ, এসএম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-আজিজুল বারী হেলাল ও এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী। এখানে জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা কবিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ প্রার্থী হতে চান। এই আসনে জাতীয় পার্টির দুজন নির্বাচন করতে চান। তারা হলেন-এস হাদিউজ্জামান ও ডা. সৈয়দ আবুল কালাম।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, গুটুদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ার, ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন, ড. এম মাহাবুব উল ইসলাম, আজগর বিশ্বাস তারা। আর বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন-অধ্যাপক ডা. গাজী আবদুল হক ও মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ। এখানে জামায়াতের একক প্রার্থী সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার। জাতীয় পার্টির প্রাথী হতে চান সাইদ মোড়ল ও ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আব্দুল জব্বার।
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি আকতারুজ্জামান বাবু, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, মো. কামরুজ্জামান জামাল, ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-এসএম শফিকুল আলম মনা, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ শামসুল আলম পিন্টু, অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম। এখানে জামায়াতের আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু ও ইসলামী আন্দোলনের আসাদুল্লাহ আল গালীব প্রার্থী হতে চান।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, বেনাপোলের সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও নাজমুল হাসান। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-মফিকুল হাসান তৃপ্তি, খায়রুজ্জামান মধু ও আবুল হাসান জহির।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি অ্যাড. মনিরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আলী রায়হান, অ্যাডভোকেট এবিএম আহসানুল হক আহসান, হারুন অর রশিদ, চৌগাছা উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, মোস্তফা আশীষ ইসলাম (দেবু), ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন ও গিলবার্ট নির্মল বিশ্বাস। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-ঝিকরগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নি, মিজানুর রহমান খান, জহুরুল ইসলাম ও মোর্তজা এলাহী টিপু এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক। এখানে জামায়াতের মাওলানা আরশাদুল আলম, জাতীয় পার্টির মুফতি ফিরোজ শাহ প্রার্থী হতে চান। এই আসনে বিভিন্ন দল থেকে শক্ত প্রার্থী না থাকলে সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
যশোর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শহিদুল ইসলাম মিলন ও শাহীন চাকলাদার, সাবেক পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ও মোহিত কুমার নাথ। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে চান মুফতি নুরুল আমিন।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-আওয়ামী লীগের তিনবারের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়, অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারি গোলদার, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী, এনামুল হক বাবুল, সরদার অলিয়ার রহমান, মোহিত কুমার নাথ, অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর, ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ, রবিন অধিকারী ব্যাচা। বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, ফারাজী মতিয়ার রহমান, অ্যাডভোকেট সৈয়দ নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ ও জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট জহুরুল হক জহির।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন-আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, এসএম ইয়াকুব আলী, শহিদুল ইসলাম মিলন, আব্দুল মজিদ, যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, হুমায়ন সুলতান সাদাব, কামরুল হাসান বারী; বিএনপির সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন, ইফতেখার সেলিম অগ্নি, মোহাম্মদ মুছা ও জাতীয় পার্টির এমএ হালিম।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি শাহীন চাকলাদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচএম আমীর হোসেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। বিএনপির অমলেন্দু দাস অপু, আবুল হোসেন আজাদ, কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, জামায়াতের আমির মোক্তার আলী ও জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান হাবিব।
বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন। আর বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে চান সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু এবং শেখ মো. মাসুদ রানা। জাতীয় পার্টি থেকে প্রাথী হতে চান মাওলানা এসএম আল জুবায়ের। ইসলামী আন্দোলন থেকে প্রার্থী হতে চান মাওলানা আবুল বাশার ও মো. ইউছুপ আলী।
বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দীনের ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়। বিএনপির প্রাথী হতে চান এমএ সালাম, প্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, ফকির তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ও মো. সুজাউদ্দিন মোল্লা সুজন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে চান হাজরা জাহিদুল ইসলাম বাবলু। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে চান মো. সাইফুল্লাহ।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান বর্তমান এমপি হাবিবুন নাহার, লায়ন ইকবাল লতিফ সোহেল, ব্যারিস্টার শেখ ওবায়দুর রহমান ও চিত্রনায়ক শাকিল খান। বিএনপির প্রার্থী হতে চান লায়ন শেখ ফরিদুল ইসলাম ও কৃষিবিদ শামিমুর রহমান। জামায়াতের প্রার্থী হতে চান অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে চান এমএ সবুর। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে চান মাওলানা আব্দুল আজিজ।
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ। বিএনপির প্রার্থী হতে চান অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. কাজী মো. মনিরুজ্জামান, কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, মনিরুল হক ফরাজী। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে চান শরণখোলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। জামায়াতের প্রার্থী হতে চান অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম। আর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে চান মাওলানা আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান বর্তমান এমপি আব্দুল হাই, শিল্পপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস, শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ারদার। বিএনপির প্রার্থী হতে চান অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ ও জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হলেন মনিকা আলম। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন।
ঝিনাইদহ-২ (ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুণ্ডু) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান বর্তমান এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী, সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু, শিল্পপতি নাসের শাহারিয়ার জাহিদী মহুল। বিএনপির প্রার্থী হতে চান অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট এসএম মশিউর রহমান, ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবু ও মীর রবিউল ইসলাম লাবলু। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মেজর মাহফুজুর রহমান। আর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ডা. এইচএম মোমতাজুল করীম।
ঝিনাইদহ-৩ ( কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান বর্তমান এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, সাজ্জাদ হোসেন, মহেশপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ময়জুদ্দিন হামিদ, কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুননেছা মিকি। বিএনপির প্রার্থী হতে চান আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মেহেদী হাসান রনি, ইঞ্জিনিয়ার মোহা. মমিনুর রহমান। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রহমান। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা সরোয়ার হোসেন।
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার, সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, ইসরাইল হোসেন, কাজী নাসিম আল মোমিন রূপক, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার পারভেজ সাগর, ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন। বিএনপির মনোনয়ন চান সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাবেক এমপি শহীদুজ্জামান বেল্টু, একেএম হারুনুর রশিদ মোল্ল্যা ও হামিদুল ইসলাম। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে চান এনামুল হক বাচ্চু। জামায়াতের প্রার্থী হতে চান মওলানা আবু তালিব এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে চান মুফতী আব্দুল জলিল।
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বর্তমান এমপি আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরী, বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন, শরীফ উদ্দিন রিমন, হাসানুল আসকর হাসু, ড. মোফাজ্জেল হক। বিএনপির মনোনয়ন চান সাবেক এমপি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট রমজান আলী। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চান শাহরিয়ার জামিল জুয়েল। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী হতে চান শরিফুল কবির স্বপন।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে প্রার্থী হতে চান বর্তমান এমপি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন, ডা. ইফতেখার মাহমুদ ও প্রফেসর ডা. এসএম মুসতানজীদ। বিএনপির মনোনয়ন চান সাবেক এমপি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও ফরিদা ইয়াসমিন। এই আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী হতে চান ডা. শহিদুল ইসলাম ফারুকী। আর জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রার্থী হতে চান দলটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন। জামায়াতের প্রার্থী হতে চান আব্দুল গফুর।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বর্তমান এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ, আজগর আলী ও ডা. এএফএম আমিনুল হক রতন। বিএনপির মনোনয়ন চান সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিন, জাকির হোসেন সরকার। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে চান নাফিজ আহম্মেদ খান টিটু। জামায়াতের আমির ফরহাদ হুসাইন। জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন।
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান এমপি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, সাবেক এমপি আবদুর রউফ, সাবেক এমপি সুলতানা তরুণ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন জাফর ও কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান খান। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কুমারখালী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আনসার প্রামাণিক। জামায়াতের মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হুসাইন। জাতীয় পার্টির আরিফুল ইসলাম ও আইন উদ্দিন, জাসদের রোকনুজ্জামান রোকন।
মাগুরা-১ (সদর-শ্রীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব, শফিকুল ইসলাম, কুতুবুল্লাহ হোসেন মিঞা কুটি। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-মনোয়ার হোসেন খান, সাবেক পৌর মেয়র ইকবাল আকতার খান কাফুর, আলি আহমেদ বিশ্বাস, আহসান হাবিব কিশোর। আর জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চান সেলিনা হাসান, সিরাজুস সায়েফিন সাইফ। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে চান মাওলানা নাজিরুল ইসলাম ও মুন্সী আমান উল্লাহ। জাসদের মনোনয়ন চান জাহিদুল আলম।
মাগুরা-২ (শালিখা-মহম্মদপুর-সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান এমপি ডক্টর বীরেন শিকদার, নির্মল কুমার চ্যাটার্জ্জি, অ্যাডভোকেট শফিকুজ্জামান বাচ্চু, ডক্টর অহিদুর রহমান টিপু, কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দিন। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির খসরুল আলম। আর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে চান মুফতি মোস্তফা কামাল।
চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ শামসুল আবেদীন খোকন, ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, এমএ রাজ্জাক খান রাজ, নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, আফরোজা পারভীন। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-সাবেক এমপি শামসুজ্জামান দুদু, শরীফুজ্জামান শরীফ, (অব.) লে. কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান। আর জামায়াতের আনোয়ারুল হক মালিক, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, জাসদের এম সবেদ আলী, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা জহুরুল ইসলাম, এনপিপি ইদ্রিস চৌধুরী ও জাকের পার্টির মজিবর রহমান প্রার্থী হতে চান।
চুয়াডাঙ্গা-২ (চুয়াডাঙ্গা সদর-দামুড়হুদা-জীবননগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীলা হলেন-বর্তমান এমপি হাজি আলী আজগার টগর, আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, মো. হাশেম রেজা, মো. নূর হাকিম, সাদিকুর রহমান বকুল, অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির ও মো. আবু বকর। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-মাহমুদ হাসান খান বাবু, মাহমুদুর রহমান শাওন তরফদার, ইঞ্জিনিয়ার মোখলেসুর রহমান টিপু তরফদার। আর জামায়াতের অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ও জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম প্রার্থী হতে চান।
সাতক্ষীরা-১ (তালা ও কলারোয়া) আসনে প্রার্থী হতে চান বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-সাবেক এমপি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শেখ নুরুল হক, সরদার মুজিব, লায়লা পারভিন সেঁজুতি, রফিকুল ইসলাম ও সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র। আর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জাতীয় পার্টির সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, জাসদের ওবায়দুস সুলতান বাবলু ও জামায়াতের অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্যাহ প্রার্থী হতে চান।
সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-রহমাতউল্লাহ পলাশ, তারিকুল হাসান, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতি ও আলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চান শেখ আজহার হোসেন ও আশরাফুজ্জামান আশু। এখানে জামায়াতের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।
সাতক্ষীরা-৩ (দেবহাটা, আশাশুনি ও কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বর্তমান এমপি প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক, ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ। আর এই আসনে বিএনপির ডা. শহিদুল আলম, জামায়াতের মাওলানা রবিউল বাসার, জাতীয় পার্টির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজল হক প্রার্থী হতে চান।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি স ম জগলুল হায়দার, সাঈদ মেহেদী, আতাউল হক দোলন ও মাসুদা খানম মেধা। এখানে বিএনপির সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ও জামায়াতের সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম প্রার্থী হতে চান।
মেহেরপুর-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বর্তমান এমপি ফরহাদ হোসেন, সাবেক এমপি আবদুল মান্নান, জয়নাল আবেদীন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম ও এমএএস ইমন। এখানে বিএনপির সাবেক এমপি মাসুদ অরু, জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ, জামায়াতের তাহাজ উদ্দীন খান প্রার্থী হতে চান।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, গাংনী পৌরসভার বর্তমান মেয়র আহমেদ আলী ও মোখলেসুর রহমান মুকুল। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, জাভেদ মাসুদ মিল্টন, আসাদুজ্জামান বাবলু। এখানে ওয়ার্কার্স পার্টির নুর আহমেদ বকুল, এলডিপির সাবেক এমপি আবদুল গণি, জাতীয় পার্টি আবদুল হালিম ও ইসলামী আন্দোলনের আলিমুজ্জামান হোসেন প্রার্থী হতে চান।
নড়াইল-১ (সদর আংশিক-কালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি বিএম কবিরুল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, খাজা মিয়া, মো. শাহীদুল ইসলাম, কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, কাজী সরোয়ার হোসেন। এখানে বিএনপির বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও অ্যাডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ, জামায়াতের অধ্যক্ষ এমএইচ বাহাউদ্দীন ও ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মো. খবির উদ্দিন প্রার্থী হতে চান।
নড়াইল-২ (সদর আংশিক-লোহাগড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বর্তমান এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজা, আসিফুর রহমান বাপ্পী, লে. কর্নেল হাসান ইকবাল, লায়ন নুর ইসলাম ও হাবিবুর রহমান তাপস। বিএনপির মনোনয়ানপ্রত্যাশীরা হলেন-নড়াইল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ও শরীফ কাসাফুদ্দোজা কাফী। এখানে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, সাবেক এমপি ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা অ্যাড. শেখ হাফিজুর রহমান প্রার্থী হতে চান।