বৃহস্পতিবার বেলা ১টা। বাইরে চমৎকার আবহাওয়া। ঝলমলে রোদ। মানবজমিন কার্যালয়ে একজন অতিথিকে বরণ করার জন্য সর্বস্তরের কর্মীরা প্রস্তুত। আর এই অতিথি হচ্ছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস্। তিনি এলেন। তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হলো। মানবজমিনের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে মতবিনিময়, পত্রিকার বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শনের পর তিনি সবার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন। সবশেষে মিলিত হন এক আড্ডায়। বলে রাখি পিটার হাস্ কথা বলেন সোজাসাপটা, অনেক মজা করে।
কূটনীতির মারপ্যাঁচ থাকে না- এমন কিন্তু নয়। সারাক্ষণ হাসি লেগেই থাকে। যাই হোক, আড্ডা শুরু হয়। এই জমজমাট আড্ডায় সংযুক্ত হন মিজানুর রহমান ও তারিক চয়ন। তাদের বয়ানে জানা যাক কী কথা হলো এই আড্ডায়? শুরুটা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে। মহামারিকালে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কি ছিল? সাড়ে ১১ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে প্রদান করায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয় এত বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন অনুদান দেয়ার কারণ কি? পিটার হাসলেন। বললেন, আমি মনে করি এটা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যকার অংশীদারিত্বের একটা উদাহরণ মাত্র। অনেক উদাহরণের মধ্যে এটা সামপ্রতিক দৃশ্যমান এক উদাহরণ। কিন্তু, গত ৫ দশকেরও বেশি সময়ে আমরা বাংলাদেশকে ৮.১ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা) উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছি। আমরা বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন অনুদান হিসেবে দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অনুদানের ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশই পেয়েছে। তাছাড়া, বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহায়তা করেছি। অধিক উৎপাদনের জন্য কৃষকদের কারিগরি সহায়তা দিয়েছি। আমরা দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণও দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগের সঙ্গেও কাজ করেছি। সামরিক ক্ষেত্রেও আমরা একে অপরের সঙ্গে কাজ করছি। আপনারা হয়তো জানেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এফডিআই (প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ) আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই। বাংলাদেশের রপ্তানির বড় অংশই আমাদের দেশে যায়। দুই দেশের জনগণের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা এর সাক্ষ্য বহন করে। আবারো বলছি, ভ্যাকসিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আমাদের বিভিন্ন কাজের মধ্যে এটা অনেক বেশি দৃশ্যমান হলেও এটা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বের কেবল একটা অংশ মাত্র। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক মূল্যায়ন করতে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্ বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান রয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। বাস্তবতা হলো, বর্তমান বিশ্বে সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন- সেটা চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত যে দেশই হোক না কেন। বাংলাদেশের জন্য যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সে সবই এই সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত। চীন, যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবে এই সম্পর্কগুলো রক্ষা করেছে। আমরা কারও পক্ষ নেয়ার কথা বলি না। আমরা বাংলাদেশের অংশীদার হতে চাই। একটা বিষয় আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে নিজের পছন্দ বেছে নেয়ার সক্ষমতা যেন বজায় রাখতে পারে। সুতরাং, বাংলাদেশের সঙ্গে নির্দিষ্টভাবে চীনের সম্পর্ককে ফোকাসে রাখতে চাই না। চলতি মাসের প্রথম দিন (১লা আগস্ট) নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে আপনি বৈঠক করেন। তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অক্টোবরের শুরুতে বাংলাদেশে একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই দলটি কীভাবে কাজ করবে, খুব স্বাভাবিকভাবেই সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। কী আলোচনা হয়েছিল একটু খোলাসা করে বলবেন কি? জবাবে পিটার হাস্ বলেন, আমরা দুটি স্বাধীন সংস্থার সঙ্গে কাজ করি: ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। এই দুটি সংস্থা দ্বিদলীয় এবং স্বাধীন। নির্বাচন মূল্যায়ন এবং পর্যবেক্ষণের বিষয়ে তারা পেশাদার। দলটি অক্টোবরের শুরুতে আসবে। তারা সকল অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবে: সরকার, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দলসমূহ, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে নির্বাচনের জন্য কেমন প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, তারা কনটেক্সট এবং গোটা নির্বাচনী পরিবেশও দেখবে। দেশে ফিরে তারা যা দেখেছে তার উপর একটি পাবলিক রিপোর্ট জমা দেবে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই পর্যবেক্ষক টিম আসবে কি আসবে না- তা নির্ভর করছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে, কীভাবে হবে- এটাও আলোচনায় উঠে আসে। পিটার হাস্ চটজলদি জবাব দেন। বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলে আসছি। আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের কথাও বলছি। আমরা এমন নির্বাচনের কথাও বলছি, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের পরবর্তী সরকার বাছাই করতে পারবে।
এ সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন প্রশ্নে পিটার হাস্ বলেন, আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক কথাটি না বললেও আমাদের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিবেচনায় এই কথা দুটির ভিন্ন অর্থ রয়েছে। একটি হলো: কে কোথা থেকে এসেছে, ধর্ম ও লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রত্যেকে ভোট দিতে পারছে কিনা? তাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা হচ্ছে কিনা? আমরা এটাও বলছি- স্বাধীনভাবে, সমাবেশ করার, কথা বলার, ভোট দেয়ার অধিকার পাচ্ছে কিনা এবং সর্বোপরি তাদের ভোট গণনা নিশ্চিত হচ্ছে কিনা? অন্তর্ভুক্তিমূলক কথাটির আরেকটি মানে হলো: সকল রাজনৈতিক দল যেন বিশ্বাস করে তারা প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেন এই আস্থা পায় যে, তারা সর্বোচ্চ ভোট পাবে এবং নির্বাচনে জয়লাভ করবে। প্রত্যেকেই যেন ভোট দিতে পারে এবং প্রত্যেকের জেতার যেন সুযোগ থাকে। সকলের জন্য নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা দরকার এটাও আমরা বলছি।
আগামী নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক না হলে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে- অনেকেই এমন ধারণা করছেন। এ বিষয়ে মার্কিন দূত তার অবস্থান স্পষ্ট করলেন না। তবে বললেন, আপনারা যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন যে, অগণতান্ত্রিক দেশগুলোর তুলনায় গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অপেক্ষাকৃত ভালো, শক্তিশালী এবং বলিষ্ঠ।
যাই হোক আপনি নির্বাচন কমিশন ভিজিট করেছেন। অনেক রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল অংশীজনদের সঙ্গে বসেছেন। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি ছাড়া এমন কোনো ইঙ্গিত কি পেয়েছেন যাতে মনে হয়েছে আগামী নির্বাচনে আগের দুটি নির্বাচনের (২০১৪ ও ২০১৮) পুনরাবৃত্তি হবে না? এর জবাবে বাংলাদেশে আসার পর থেকে ‘নির্বাচন কেবল একদিনের বিষয় নয়’ কথাটি বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়া পিটার হাস্ বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গেলে, শুধু একটি দিন বা ওইদিনে কী হলো তা নিয়ে আলোচনা করলেই হবে না। এটা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া, পুরো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। যেমনটি বলেছেন, আমি বাংলাদেশের সমাজের সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকলেরই এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন যদি এখন থেকে শুরু না হয় এবং তাদের কেউ যদি (এখন থেকেই) নিজেদের ভূমিকা পালন না করেন তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করা দুরূহ। ধরুন: কোনো রাজনৈতিক দলকে যদি মিছিল করতে দেয়া না হয়, বাধা দেয়া হয়, তাদের যদি সমাবেশের স্বাধীনতা না থাকে তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা ভাবা কঠিন। একইভাবে যদি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকে, গণমাধ্যমকে যদি কোনো কিছু রিপোর্ট না করার জন্য চাপ দেয়া হয়, যদি তাদের সেল্ফ সেন্সরশিপ করতে হয় তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় কীভাবে? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা যদি কেবল নির্দিষ্ট কোনো দলের ওপর আইন প্রয়োগ করেন, অন্যদের ক্ষেত্রে না করেন, তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সভা-সমাবেশে মানুষ যখন জড়ো হয় তখন মাঝে মধ্যেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। আশা করছি, বুঝতে পারছেন যে, এটা (নির্বাচন) কেবল একদিনের বিষয় নয়। এর সঙ্গে সামগ্রিক পরিবেশ জড়িত।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, বিশ্ব এখন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে যাতে করে দেশটি এ অঞ্চলসহ গোটা বিশ্বের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শক্তিশালী দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। তাই আপনি কি মনে করেন যে, বাংলাদেশে একটি অবাধ নির্বাচনের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে বিশ্বের অন্যান্য সমমনা দেশ কিংবা জাতিসংঘকে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা থাকা দরকার? জবাবে পিটার হাস্ বলেন, বিষয়টি গোটা বিশ্ব দেখছে। এ বিষয়ে আমি আরও পরিষ্কার করে বলতে চাই বাংলাদেশ অর্থনীতিতে চমৎকার সাফল্য লাভ করেছে। সামনে কি হচ্ছে, অর্থনীতির সেই চমৎকার সাফল্যের ধারাবাহিকতা কীভাবে এগোয় মানুষ সেটা দেখতে চাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরাও তাকিয়ে আছে। আমি বলবো, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ যে উন্নতি করেছে তার দিকে এবং তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দিকে অনেক মানুষ তাকিয়ে আছে। তাই তারা বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে সেটি দেখতে নির্বাচনকে একটি ‘সিগন্যাল’ হিসেবে ধরে নিয়েছে। অন্যান্য দেশ, সমমনা দেশ, জাতিসংঘ সবারই নিজস্ব নীতি রয়েছে। সবাই নিজেদের নিয়মে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে। গত কয়েক মাসে আপনারা দেখেছেন অনেক ক্ষেত্রেই অনেক সমমনা দেশ এক হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তবে, সবাইকে জড়ো করা আমাদের কাজ নয়। আমরা আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করছি, অন্য দেশগুলোও সেটা করছে। আমরা মনে করি, একসঙ্গে কথা বলাটা গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনীতি ও গণমাধ্যম দুটোই নিয়ন্ত্রিত। এই অবস্থায় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কি? পিটার হাস্ বললেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এদেশের মানুষের হাতেই। প্রত্যেকেরই দায়িত্ব দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। মানুষের এটা মনে রাখা উচিত, আজ আমি যা করবো তার উপরই আগামীর বাংলাদেশ নির্মিত হবে।
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) পরিবর্তন করে তার জায়গায় সাইবার নিরাপত্তা আইন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি? তিনি বলেন, এটা গোপন কিছু নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারায় সমস্যা পেয়েছিল। এটাও গোপন নয় যে, বিরোধী মত, গণমাধ্যমকে দমাতে অনেক ক্ষেত্রেই আইনটি ব্যবহৃত হয়েছিল। তাই আইনটি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। আমার মনে হয় নতুন আইনটি না দেখা পর্যন্ত সেটি জাতীয় বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী কেমন হয়েছে তা নিয়ে কথা বলাটা এই মুহূর্তে ঠিক হবে না। আশা করছি, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাকস্বাধীনতা এবং অপরাধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সুরক্ষার ক্ষেত্রে সঠিক ভারসাম্য হিসেবে কাজ করবে। কথা বলার ধরন দেখে মনে হয়েছিল, পিটার হাস্ আড্ডাটি আরও দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সময় এখানে অন্তরায়। তার আরেকটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে। সহকর্মীরা ঘড়ির কাঁটার দিকে বারবার তাকাচ্ছিলেন। এবার হাস্ থামলেন। বললেন, আজ এখানেই সমাপ্তি টানতে চাই। ব্রায়ান শিলারের সবুজ সংকেতও এসে গেছে। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আপনিও। এরপর পতাকাবিহীন গাড়িতে চড়ে ছুটলেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে।