কক্সবাজারের চকরিয়ায় মরহুম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার নামাজ শেষে এক সন্ত্রাসীর গুলিতে ফোরকানুল ইসলাম (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় মুসল্লিদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে চিরিঙ্গা জামে মসজিদ মাঠে জানাজার নামাজ শেষে এ ঘটনা ঘটে।
ফোরকানুল ইসলাম চকরিয়া পৌর সভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুলভারী পাড়া এলাকার আবুল ফজলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাজা নিয়ে বিভিন্ন নাটকিয়তার মধ্যে দিয়ে অবশেষে পৌর শহরের নামার চিরিঙ্গা জামে মসজিদ মাঠে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। মুসল্লিরা ফিরে যাওয়ার সময় পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল জনতা পুলিশের গাড়িতে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এরমধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ বানিয়াছড়া এলাকার মনির আহমেদ (৩৫) ও কুতুবদিয়ার কুতুব উদ্দিনকে (৪৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আরেকজন ফোরকানুল ইসলাম সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদেরকে চকরিয়া বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম এমপি নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের সংবাদ তিনি এখনো পায়নি, তবে এ সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বলে তিনি জানান।