সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। কারারুদ্ধ করে রেখেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও কাজ করে উল্টো। যে মামলায় খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে তার বিরুদ্ধে কাগজে-কলমে কোনো প্রমাণ নেই। তা শুধু দেশের মানুষই নয়, বিদেশিরাও জানে। আজকে দেশের গণতন্ত্রহীনতা, হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট ও বিরোধীমতের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের কারণে আজ সারাবিশ্ব বলছে দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার নাকি দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছে। তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকারের এত ভয় কেনো! উন্নয়ন করে থাকলেতো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগই জয়ী হওয়ার কথা। আসলে তারা উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ লুট করেছে। জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাঙালির জাতির শত বছরের ইতিহাস বলে গণতন্ত্রকামী মানুষ কখনও মাথা নত করে না।
এদেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের সরকার গঠিত হবে।
এসময় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, এ সরকারের কাছে দেশ ও জনগণ কোনটাই নিরাপদ নয়। এরা আবার ক্ষমতায় আসলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে। যে মানুষটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ১৮ কোটি মানুষকে একত্রিত করেছেন সে তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে আজ নির্বাসিত রাখা হয়েছে। আজকে দেশবাসী শপথ নিয়েছে যতদিন না দেশে গণতন্ত্র ফিরে না আসবে, খালেদা জিয়া মুক্ত না হবে এবং তারেক রহমান বীরের বেশে এদেশে ফিরে না আসবে ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়বো না। ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় ছাত্রদলের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।