গণমিছিলে মির্জা আব্বাস আলোর দেখা পাচ্ছি, সামনে বিএনপি’র দিন আসছে

বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ইনশাআল্লাহ সামনে আলোর দেখা পাচ্ছি। সামনে আমাদের দিন আসছে। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো। শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র উদ্যোগে রাজধানীর গুলশানে গণমিছিল-পূর্ব সংক্ষপ্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

‘সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে’ এই মিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। বিকাল ৪টায় রাজধানীর গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হয়। শেষ হবে মহাখালীতে গিয়ে।
মির্জা আব্বাস বলেন, মিছিলে মিছিলে রাজপথ ভরে গেছে। লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। জায়গা নাই। এখন মিছিলের মাথা এবং পেছন এক হয়ে গেছে। কী কারণে আজকে এত জনসমাবেশ? কী কারণে এত লোক হচ্ছে? আজকে দেশের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছে।

 

কারণ এই সরকারকে দেশবাসী আর দেখতে চায়।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর লুটপাট এবং এই স্বৈরাচার সরকার আমাদের কাঁধে চেপে বসেছে। ধাক্কা দিলেও পড়ে না। তাই এখন টেনে-হিঁচড়ে এখান থেকে নামাতে হবে। আর আজকে ১৫ বছর ধরে আপনারা (বিএনপি’র নেতাকর্মীরা) আন্দোলন করছেন। এ সময়ে কয়েক পুরুষ পরিবর্তন হয়ে গেছে। কিন্তু এই অবৈধ সরকার পরিবর্তন হলো না! কারণ এই সরকার অবৈধভাবে এবং বিভিন্ন কায়দায় ক্ষমতায় আছে। কখনো জনগণের ভোটে এই সরকার ক্ষমতায় আসে নাই।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, হত্যা, গুম এবং হুমকি ১৫ বছর দিয়েছেন। এটাকে আর কেউ ভয় পায় না। আপনাদের সকল অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। এই অস্ত্র আর কাজ করবে না।

পানি পড়া এবং কোনো তদবির- তোষামোদে কাজ হবে না বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আব্বাস বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছেন। সুতরাং আপনাদের ক্ষমতা থেকে যেতে হবে।
বিএনপি’র আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, এই সরকারকে লাল পতাকা দেখানোর জন্য আমরা গুলশানে সমবেত হয়েছি। লাল পতাকা দেখানো মানে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয়। সরকারকে বলবো, জনগণ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আর ১২ কোটি ভোটার আজকে রাজপথে এসেছে। রাজপথে সরকারের বিরুদ্ধে তারা অনাস্থা দিয়েছে। সুতরাং এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতায় আছে এই সরকার। অত্যাচার ও নির্যাতন করে দেশ শাসন করছে। এই সরকারে আমলে মানুষ নির্যাতিত। তাই দেশের সব বিরোধী দল সরকার পতনে একদফা আন্দোলন শুরু করেছে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের শক্তিকে মূল্যায়ন করছে না। তাই আন্দোলনকে আরও শাণিত করতে হবে এবং সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।
এদিকে বেলা ১টার থেকে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের ভিড়ও বাড়ে। উত্তরের বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসেন দলে দলে। এ সময় সরকারবিরোধী বিভিন্ন সেøøাগানে গণমিছিল প্রাঙ্গণ মুখরিত করেন তুলেন তারা।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশিদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।