Share
আব্দুর রহমান: শহরের পলাশপোলে মনসা পুজা দিতে এসে ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রীসহ চার নারীর সোনার চেইন ছিনতাই হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। রুপালী ব্যাংক সাতক্ষীরা কর্পোরেট শাখার সহকারি জেনারেল ম্যানেজার শংকর কুমার দাস জানান, তার স্ত্রী মনিকা রানী দাস সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চায়না বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বটগাছতলায় মা মনসার মন্দিরে পুজা দিতে আসেন। ১১টার দিকে মনিকা পুজাবেদীর ফটকের কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকলে হঠাৎ করে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এ সময় কয়েকজন তাকে ঠেলে দিলে তিনি একদিকে কাত হয়ে যান। এসময় কৌশলে তার গলা থেকে আট আনা ওজনের সোনার চেইন ছিনতাই করা হয়। পরে তিনি থানায় যেয়ে মৌখিক অভিযোগ করার পর আরো তিনজনের সোনার চেইন ছিতাইয়ের ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে মর্মে জানতে পারেন। প্রতি বছরের ন্যায় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের পলাশপোল গুড় পুকুর পাড়ের বটতলায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে এই পূজার আয়োজন করা হয়। সর্পদেবী মনসা ও বিশ্বকর্মা পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী গুড় পুকুরের মেলা উদযাপন করা হয়। এ বছর সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষ আগামী বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। মনসাতলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন রায় জানান, সকাল থেকে শহরের পলাশপোলে গুড় পুকুর পাড়ের বটতলায় চলছে মনসা ও বিশ্বকর্মা পূজার কার্যক্রম। হিন্দু নর-নারীরা সেই বটতলায় পূজা দিচ্ছেন। নিজেদের মনস্কামনা পূরণে নানা মানত করছেন। পূজায় পুরোহিত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পরিতোষ চক্রবর্তী, তাপস চক্রবর্তী, উজ্জল ব্যানার্জী ও গৌতম ব্যানার্জী। এদিকে পূজা দিতে আসা ৪ নারীর স্বর্নের চেইন খোয়া গেছে বলে জানা যায়। তারা হলেন পলাশপোল সার্বজনিন পূজা মন্দির এলাকার সংকর কুমার দাশের স্ত্রী মনিতা দাশ (১০ আনা), মেহেদিবাগ এলাকার মোহন লাল হেলার স্ত্রী শোভারাণী হেলা (১ ভরি), ডুমুরিয়ার টোলনা এলাকার নিহার মল্লিকের স্ত্রী তপতি মণ্ডল (আট আনা) এবং ফুড অফিস মোড় এলাকার আশুতোষ মণ্ডলের স্ত্রী মিরা মন্ডল (১০ আনা)। ভুক্তভোগিরা জানান, সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে মনসা তলায় প্রসাদ দেওয়ার সময় ভিড়ের মধ্যে হটাৎ ৩/৪ জন নারী ঠেলাঠেলি করে এবং অভিনব কায়দায় গলা থেকে স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়। বিষয়টি সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পূজাস্থলে নিরাপত্তার জন্য তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম আসে। পুলিশ আসার পরে এ ধরনের আর কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যায়। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিদুল ইসলাম সোমবার বিকেলে মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।