রাজধানীর পান্থপথে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে অতর্কিত লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এসময় সমাবেশ এবং এর আশেপাশের এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ দলটির।
সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে রাজধানীর পান্থপথে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে গ্রিন রোডে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এসময় নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা ও লাঠিচার্জ শুরু পুলিশ করে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের আটকও করা হয়।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর পান্থপথ থেকে শুরু হয়ে আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল দেলাওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মাওলানা আবু সাদিক, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, কামরুল আহসান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল আলাউদ্দিন শেখ, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সেক্রেটারি জেনারেল জাফর সাদিক, ঢাকা কলেজের সেক্রেটারি জেনারেল মুসআব আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশে হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার অবৈধ পথে ক্ষমতায় এসে এদেশের জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনার দাবি শুধুমাত্র জামায়াতে ইসলামীর নয়। এটা গোটা বাংলাদেশের জনগণের দাবি।
আর নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। দেশের জনগণ পরিবর্তন চায়। এই স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। তাই সরকারকে বলতে চাই, জনগণের সকল ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদেশে ধরনা দিয়ে এবার আর লাভ হবে না। ভোট ডাকাতি করে বাংলাদেশের জনগণের সাথে এবার প্রতারণা করা যাবে না। তাই বিদেশিদের কাছে ধরনা নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় জনগণই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আপনার পতন নিশ্চিত করবে।
পাঠকের মতামত
মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
বিশ্বব্যাপি ধিকৃত নিন্দিত লাঞ্ছিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার পতন আন্দোলনের অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক সাংবিধানিক অধিকার এর অংশ হিসাবে রাজপথে মিছিল নিয়ে নামলেই আওয়ামী পুলিশলীগের ছত্রছায়ায় রক্তখেকো আওয়ামী হায়েনালীগ জামায়াতের নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্রভাবে ঝাপিয়ে পড়ে এবং পুলিশলীগ নির্বিচারে জামায়াত নেতকর্মীদের গ্রেফতার আটক করা শুরু করে। আওয়ামী দানবীয় সরকারের পতন আন্দোলনকে বেগবান এবং সফল করতে আগ্রাসি আওয়ামী পুলিশলীগের হামলা মামলা গ্রেফতারকে উপেক্ষা করে হলেও আন্দোলন থেকে পিছপা হওয়া যাবেনা। জামায়াতে ইসলামী তার কাংখিত লক্ষ্যার্জনে আওয়ামীলীগের সব বাঁধার প্রাচীর ডিঙ্গাবে ইনশাআল্লাহ।
আলমগীর