বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।তিনি তাপসের উদ্দেশে বলেছেন, ‘কথাবার্তা বলতে একটু মুখটা সাবধান করে বলবেন। মির্জা ফখরুল তো লাখো জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন। কই ঠেকাতে পেরেছেন?’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আপনার (শেখ হাসিনার) বিনা ভোটের মেয়র বলেন মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেবেন না। তাপস, তোমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। কথাবার্তা বলতে একটু মুখটা সাবধান করে বলো। মির্জা ফখরুল তো লাখো জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন, ঠেকাতে পেরেছেন? তাই এসব কথা বলে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করছেন।’
তাপসকে ব্যর্থ মেয়র আখ্যা দিয়ে ফারুক বলেন, ‘বুড়িগঙ্গায় এমন মাছের জন্ম হয়েছে, যেই মাছ আগে মশা খেতো, সেই মাছ এখন মানুষ খাচ্ছে। বুড়িগঙ্গার যে মাছ আপনি সরাতে পারেন না, ডেঙ্গু সরাতে পারেন না। আপনার সরকার মানুষকে ডিম খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে না, আপনার মুখে এসব কথা কি শোভা পায়?’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও লেখা নেই স্বৈরাচার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে। হাছান মাহমুদের মুখে জোর আছে এখন, ওবায়দুল কাদেরের মুখে জোর আছে এখন। ভোট চোরের মুখে এখন শক্তি বেশি। এই শক্তি তখনই শেষ হয়ে যাবে, যখন প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগণের পক্ষে কথা বলা শুরু করবে। কারণ দিন বেশি নেই।’
ষড়যন্ত্র করে ছিন্নমূল (তৃণমূল) বিএনপি তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ঘরে রেখে অনেকে ছেড়ে গিয়েছিল। বড় বড় নেতারা দল করেছিল। টিকতে পারেনি, চুরমার হয়ে গেছে, রেল লাইনে অপমানিত হয়েছে। কোথায় তারা আজ? টিকে আছেন শুধু খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলের মতো নেতারা। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আসবে, সময় বেশি নেই। গণতন্ত্র আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) দিতে হবে। ভোট আপনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিসফের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়া। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের পরিচালনায় প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।