খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের মৃত্যু ঘিরে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক লড়াই দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠছে। দুই দেশেই কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। চলমান এ টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হলো, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে কানাডাকে প্রথম তথ্য দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকেই ভারতের হাত রয়েছে গন্ধ পায় কানাডা।
দিল্লিকেই বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্র: ভারত ও কানাডা দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত ভারতের পক্ষেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই মনে করছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন। তার বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রকে যদি কানাডা ও ভারতের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে দিল্লিকে বেছে নেবে ওয়াশিংটন। রোববার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই।
সাবেক এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতের বিপক্ষে যে অভিযোগগুলো তুলেছেন, তা দিল্লির চেয়ে অটোয়াকেই বেশি বিপদে ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কানাডার চেয়ে ভারতের কৌশলগত গুরুত্ব বেশি। কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে যে লড়াইয়ে মেতেছে, তা হাতির বিরুদ্ধে পিঁপড়ার লড়াইয়ের শামিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর থেকে ১৯৭৭ সালে কানাডায় গিয়েছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জর, পরে সেই দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেন। ৪৫ বছর বয়সি হরদীপ সিং নিজ্জর ভারতের খালিস্তানপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার শীর্ষ নেতা ছিলেন। ১৮ জুন দেশটির ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের রাজধানী ভ্যানকুভারের একটি গুরুদুয়ারার সামনে নিহত হন তিনি।