প্রায় এক দশক আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আশরাফুল ইসলাম সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুভাষিনী গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি পলাতক। নিহত স্কুলছাত্র রিয়াদ হোসেন সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে। সে কদমতলা কিন্ডারগার্টেনের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামি আশরাফুল ইসলাম মাঝেমধ্যে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে তিনি জিয়াউর রহমানের মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন। পারিবারিকভাবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হলে আশরাফুল ইসলাম প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রিয়াদকে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে কুপিয়ে হত্যা করে সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠে ফেলে রেখে যান আশরাফুল ইসলাম। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরদিন সকালে ওই মাঠ থেকে রিয়াদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতে রিয়াদের বাবা জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে সদর থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ঘটনার পর থেকে আশরাফুল ইসলাম পলাতক। পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন ও ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আজ দুপুরে এ আদেশ দেন।
এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রোকনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল লতিফ। তিনি বলেন, শিশুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।