মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে প্রয়োজনে বাংলাদেশও স্যাংশন দেবে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভিসা নীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নাই। ভিসা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নাই, মাথা ব্যাথার কারণ নাই। আমরা কোনো চাপ অনুভব করি না।
‘তলে-তলে সবার সঙ্গে আপস হয়ে গেছে’—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভিসা নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপসের ইঙ্গিত দিলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভিসানীতি আমাদের জন্য গুরত্বপূর্ণ কিছু নয়। যারা ভিসার জন্য আবেদন করে তাদের জন্য হয়তো দুসংবাদ, যদি দুষ্টু লোক হয়। আমেরিকা তো সবাইকে ভিসা দেয় না। কয়েক হাজার লোক বছরে ভিসার জন্য আবেদন করে, এর মধ্যে কত লোককে ভিসা দেয়?
ভিসা নীতি সব দেশে আছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও আছে। আমরা সবাইকে ভিসা দিই না। আমরা ব্যক্তি বিশেষ কিংবা কোনো দেশকে কম ভিসা দিই। আমি যেটা বুঝতে পারি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির মূল উদ্দেশ্য, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমরাও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তারা আমাদের সঙ্গে একমত। তারা আমাদের হাতকে শক্ত করার জন্য ভিসা নীতি চায়।
‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমেরিকা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সেজন্য তারা সহায়কের ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সাহায্য করবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে আসবে না আমেরিকা তাদের পক্ষে নাই। তারা বলেছে, তারা কোনো দলেই নাই। কিন্তু তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের একমাত্র..তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আমরাও গণতান্ত্রিক সরকার চাই।’
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের স্যাংশন দেবে। স্যাংশন দেওয়া নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা- জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘অবশ্যই আমরাও স্যাংশন দেব। প্রয়োজনে প্রস্তুতি নেব আমরা। অবশ্যই আমরা স্যাংশন দেব।’
স্যাংশন কাদের ওপর দেওয়া হবে এবং কী বিষয়ে স্যাংশন দেওয়া হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আমাদের ওপর স্যাংশন দেবে তাদের ওপর স্যাংশন দিতে পারি। পারি না? নিশ্চয়ই পারি। প্রয়োজনে প্রস্তুতি নেব। তাড়াহুড়ো কীসের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্যাংশন হতে পারে। এগুলো সময়মতো জানবেন।’