বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যাতে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির ১৫ এমপি। এ নিয়ে তারা তাদের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজকে চিঠি দিয়েছেন।
ওই নীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চিঠিতে অস্ট্রেলিয়ার এমপিরা বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোনো কাজকে উদ্বেগজনক মনে করি। এরমধ্যে আছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ ও মিডিয়াকে মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া।
এমন অবস্থায়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যাতে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে হোক বা অন্য কোনো উপায়ে হোক, যুক্তরাষ্ট্রের মতো আমাদেরও অনুরূপ নীতি প্রণয়ন করা অত্যাবশ্যক।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র সদস্যদের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সাধারণ নাগরিক, অ্যাকটিভিস্ট ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। এই অপরাধগুলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ওই এমপিরা বলেন, বাংলাদেশের ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচন বিতর্ক এবং অনিয়মে ভরা ছিল। ভয় প্রদর্শন এবং বিরোধী রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও মিডিয়ার ওপর সহিংসতার অভিযোগ ছিল।
চিঠির শেষে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়, যেহেতু অস্ট্রেলিয়া সরকার কূটনীতির মাধ্যমে আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমরা আশা করি আপনি আমাদের এই চিঠিকে গুরুত্ব দেবেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী এমপিরা হলেন-সিনেটর ডেভিড শোব্রিজ, সিনেটর জর্ডন স্টিল-জন, অ্যাডাম ব্যান্ড এমপি, সিনেটর লারিসা ওয়াটার্স, সিনেটর নিক ম্যাককিম, সিনেটর জ্যানেট রাইস, সিনেটর বারবারা পোকক, এলিজাবেথ ওয়াটসন-ব্রাউন এমপি, স্টিফেন বেটস এমপি, সিনেটর মেহরীন ফারুকী, সিনেটর পিটার হুইস-উইলসন, সিনেটর দরিন্দা কক্স, সিনেটর পেনি অলম্যান, ম্যাক্স চ্যান্ডলার এমপি এবং সিনেটর সারাহ হ্যানসন।