বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেফতারের বিষয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে মোট দুটি ওয়ারেন্ট আছে লক্ষ্মীপুর থানায়। জেলা পুলিশের রিকোয়েস্টের ভিত্তিতে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশকে আঘাতের মামলায়ও তিনি এফআরআইভুক্ত আসামি। দুটি ঘটনায় ধানমন্ডি থানা পুলিশ তাকে ধরে আনে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবিপ্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা। তিনি যে পর্যায়ের নেতাই হোক, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, হবেও না।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, এ্যানির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলেও তিনি আদালতে হাজির হননি, জামিন নেননি। কোনো মামলাতেই হাজির হননি। ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওয়ারেন্টের কথা এ্যানিকে থানা পুলিশ বারবার জানিয়েছিল কিন্তু তিনি হাজির হননি।
তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান। তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিই হোক কিংবা অন্য যে কোনো ব্যক্তি। কারও বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ও সুস্পষ্ট মামলা থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে আটকের পর দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর ও রাজধানীর ধানমন্ডিতে দুটি মামলা রয়েছে। যাতে ওয়ারেন্ট রয়েছে।
গতকাল গভীর রাতে ধানমন্ডি থেকে আটকের পর আজ বুধবার দুপুর ১২টায় তাকে আদালতে নেয় পুলিশ। বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতাকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
ধানমন্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা এ্যানির বিরুদ্ধে মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলা দুটির মধ্যে একটি ধানমন্ডি থানায় নাশকতা মামলা ও অপরটি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তাকে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।