আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণসহ ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। বুধবার সকালে রাজধানীর শাপলাচত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি অবিলম্বে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, আমীরে জামায়াত ডা.শফিকুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ কারারুদ্ধ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আলেম-উলামাদের নি:শর্ত মুক্তি, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল অফিস খুলে দেয়া, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ এবং শিক্ষাখাতে সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
রাজিবুর রহমান বলেন, অবৈধ সরকার গুম, খুন, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশটাকে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশকে তাদের দলীয় সম্পদে পরিণত করেছে। সংসদকে তারা দলীয় অফিস বানিয়ে ফেলেছে। আর প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদী সরকার গত ১৫ বছরে এদেশের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। আলেম-ওলামাদের কারাবন্দি করে নির্যাতন করছে। দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের মিনি ক্যান্টনমেন্টে। চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস ও র্যাগিংয়ের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ছাত্র সমাজ তার অবসান চায়।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ এদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলেছে। আ.লীগের নেতারা এদেশের অর্থ লুট করে, রিজার্ভ ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার খালি করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। অবৈধ সরকারের ক্ষমতা তছনছ করে দেওয়ার জন্য ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে এসেছে। প্রত্যেক দুর্নীতিবাজের বিচার বাংলার মাটিতে হবে, ইনশাআল্লাহ।” ইসলামী ছাত্রশিবির ৭ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছে। অবিলম্বে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্রশিবিরের অফিসগুলো খুলে দিতে হবে। সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস ও সকল সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির কখনো জুলুমের কাছে মাথা নত করেনি। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো, ইনশাআল্লাহ।” তিনি ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের করালগ্রাস থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষায় ছাত্রজনতাকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।