ইসরাইলের আলটিমেটাম: গাজা ছাড়ল ৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি

ইসরাইলের আলটিমেটামের পর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ওয়াদি ছেড়েছে চার লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।  শুক্রবার দিন শেষ হওয়ার আগেই ওয়াদি থেকে ফিলিস্তিনিরা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে এলাকা ত্যাগ করেছেন।

শনিবারেও এই ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওচা)।

৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট গাজা উপত্যকায় বসবাস করেন ২৩ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে অন্তত ১১ লাখ, অর্থাৎ গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই বসবাস করেন ওয়াদিতে।

গত ৭ অক্টোবর শনিবার ইসরাইলের হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। এই দিন ভোরে ইসরাইলের দক্ষিণ সীমান্তের বেড়া ভেঙে সেখানে অনুপ্রবেশ করে শত শত হামাস যোদ্ধা। হামলার প্রথম দিনই নিহত হন কয়েক শ’ ফিলিস্তিনি।

শুরুতে খানিকটা অপ্রস্তুত থাকলেও অল্প সময়ের মধ্য তা কাটিয়ে পূর্ণ উদ্যমে যুদ্ধের ময়দানে নামে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)।

৭ থেকে ১৩ অক্টোবর, অর্থাৎ হামলার প্রথম ৬ দিন গাজা উপত্যকায় অন্তত ৬ হাজার বোমা ফেলেছে আইডিএফের বিমানবাহিনী। ব্যাপক এই বোমা হামলায় হামাসের অন্তত ২০০টি ঘাঁটি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৫শ’রও বেশি।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমান হামলার পর এবার গাজায় স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিএফ। সেই অভিযানের অংশ হিসেবেই ওয়াদি থেকে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলা হয়েছে।

আইডিএফের সেই অভিযান এখনও শুরু হয়নি। কবে থেকে শুরু হবে, তা ও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওয়াদির সীমান্ত এলাকায় বেশ কিছু ইসরালি ট্যাংক ও টহলরত সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে হামলার প্রথম দিনই গাজায় পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ইসরাইল। ফলে উপত্যকাজুড়ে ইতোমধ্যেই মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি শুরুর আভাস মিলছে বলে জানিয়েছে ওচা।

শনিবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গাজার বাসিন্দাদের অধিকাংশই নিরাপদ সুপেয় পানি পাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে তারা কুয়ার পানি খাচ্ছে, যা ইষৎ নোনা এবং অনিরাপদ। ফলে নিকট ভবিষ্যতে উপত্যকায় জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

সূত্র: সিএনএন

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।