গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ধ্বংস ও তাদের সামরিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দেওয়াই ইসরাইলি বাহিনীর লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে। আর সেটিই হবে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের শেষ পর্যায়।
আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানিয়েছেন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জনাথন কনরিকাস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
জনাথন কনরিকাস জানান, গাজায় পরবর্তী অভিযানের জন্য উপত্যকার চারপাশে তাদের রিজার্ভ সেনারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অভিযানের লক্ষ্য একেবারে স্পষ্ট। যুদ্ধ শেষে হামাস আর কখনো ইসরাইলের সেনাবাহিনী বা বেসামরিক লোকদের ক্ষতি করতে পারবে না।
লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। সেখানে সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত শান্ত হয়েছে।
এদিকে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার সংঘাত শনিবার অষ্টম দিনে গড়িয়েছে। হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ইসরাইলি বোমা হামলায় প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছে, হামাসের হাতে জিম্মি থাকা সেনা ও বেসামরিক মানুষের সংখ্যা ১২০ জনের বেশি।
উত্তর গাজার বেসামরিকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশের বিষয়ে জনাথন কনরিকাস বলেছেন, আমরা বিষয়টি স্পষ্ট করতে চাই। গাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা আমাদের শত্রু নন। আমরা তাদেরকে শত্রু হিসেবে টার্গেট করি না। আমরা সঠিক কাজ করার চেষ্টা করছি, আমরা ঝুঁকি কমাতে তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি বলেন, এসব কিছুর জন্য হামাস দায়ী। আমরা পরিস্থিতিতে সাড়া দিচ্ছি। আমরা বেসামরিক বা তাদের অবকাঠামোতে হামলা না করার চেষ্টা করছি।
তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এমন দাবি করলেও শুক্রবার সাধারণ ফিলিস্তিনিরা যখন গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়ে যাওয়া শুরু করেন তখন অনেক গাড়িতে হামলা হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৭০ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে আল জাজিরা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।