আব্দুস ছাত্তার, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃসাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের উপজেলা সভাপতি দেবব্রত কুমার মিস্ত্রী এসব অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ গত ২৮/১০/২০১৯ তারিখে অত্র অফিসে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি
মূলত একজন সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অর্থাৎ দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা। কিন্তু তিনি নিজেকে একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে সর্বক্ষেত্রে পরিচয় দান করে এবং শিক্ষকদের সাথে অত্যন্ত গর্বের সাথে এই পরিচয় মারফত নিজেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী অফিসার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীর এমপিভুক্তির ক্ষেত্রে তার বেধে দেওয়া ঘুষের রেট ২৫০০০ হাজা
র ক্ষেত্রবিশেষ তা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত গড়ায়।স্কুল গুলোর শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের বেলায় তাকে এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেওয়া লাগে। উপজেলার বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসার আকস্মিক ভিজিটের নামে যেয়ে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে বলে ও তথ্য অনুসন্ধানের পাওয়া যায়। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার সিংহভাগ তিনি আত্মসাৎ করেছিলেন বলে শিক্ষকদের মাঝে চাউর আছে। ফলে তার এহেন দুর্নীতির কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক মামলার আসামি করা হয়েছে। তিনি মূলত একজন দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হলেও মাধ্যমিক স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ভুল বুঝিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিধি অনুযায়ী একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য প্লিজাইডিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার কথা। ফলে একাধিক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে এমনকি একজন
দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা প্রিজাইডিং অফিসার হওয়ার কারণে গঠনকৃত ম্যানেজিং কমিটি হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে। লজ্জা জনক বিষয় এই যে, তিনি একজন চেইন স্মোকার ও মাদকাসক্ত। অফিসে বসেই তিনি একের পর এক সিগারেট টান মারেন।তার এই সীমাহীন দুর্নীতির কারণে কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রতিবাদী শিক্ষক নেতা মোঃ শফিকুল ইসলাম মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে । উক্ত অভিযোগের বিষয়টি সঠিক সত্য মর্মে সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালো সুপারিশ করেছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য শিক্ষা অফিসারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয় নি। সুধী মহল ও অভিভাবক সমাজ এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।