আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৮ তারিখের সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষমতা দখল করার জন্য নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত কাপড় নিয়ে ঢাকা আসতে বলেছেন।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করার ষড়যন্ত্র করছে। তাই ঢাকার হোটেলগুলোতে কোনো সিট খালি নেই। সব সিট তারা বুক করে ফেলেছে। নতুন বাড়ির খালি ফ্ল্যাট বুক করেছে। সেই ডিসেম্বরের মতো সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু এবার বিএনপির পরিণতি শাপলা চত্বরের থেকে আরও করুণ হবে।
সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাওয়া থেকে পাওয়া আজগুবি খবর ছড়াচ্ছেন; তাদের প্রতি নাকি পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন আছে, তাদের নাকি সাহস জোগাচ্ছে। অথচ সত্য-মিথ্যা আমরা কেউ জানি না। পশ্চিমারা বলেছে, নির্বাচনে তারা কোনো দলকে সমর্থন করে না। তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, মির্জা ফখরুল আর কত মিথ্যা বলবেন! গতবার টাকার বস্তা নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন, সেই আন্দোলন সফল হয়নি। আন্দোলন গোলাপবাগ মাঠের গর্তে চলে গেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন চলে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। আগামী মাসে সেমিফাইনাল আর জানুয়ারি মাসে হবে ফাইনাল খেলা। খেলা হবে ভোট চোরদের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাট ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে। দলীয়
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৮ অক্টোবর সবাই আমরা জমায়েত হবো। বিএনপি চুরি করে প্রবেশ করছে। আমরা কি বসে বসে ললিপপ খাব? যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সবাই প্রস্তুত আছি। এবার অবরোধ করলে বিএনপিই অবরোধ হয়ে যাবে। তাদের (বিএনপিকে) অবরোধ করতে হবে। তারা এবার পালাবার পথ পাবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অর্থ সহায়তা বেড়েছে আগের চেয়ে। তারা বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে সাহস সঞ্চার করেছে। আর আওয়ামী লীগের সাহস জনগণ। আমরা জনগণের সমর্থন থেকে সাহস পাচ্ছি। জনগণ যতক্ষণ সঙ্গে আছে, ততক্ষণ ভয় নেই। আমরা ন্যায় ও নীতির পক্ষে আছি।
বিএনপিকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা কারও কাছে মাথা নত করেন না। আল্লাহ ছাড়া তিনি কাউকে ভয় পান না। ডিসেম্বরের চেয়ে এবার বিএনপির জন্য ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে।
যুব সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।