নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানী ঢাকার মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে সাংবাদিক জাকির হোসেন আজাদীর (৪৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে হোটেলের পাঁচ তলার ৫১৫ নম্বর কক্ষের বাথরুমের ফ্লোরে পড়ে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাংবাদিক জাকির হোসেন আজাদীর বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম মৃত রাজাউল্লাহ ঢালি। তিনি কলারোয়ার কাকডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন এবং সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। জাকির হোসেন আজাদী এক সময় ইত্তেফাকে সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তিনি হার্ট অ্যাটাক বা অন্য কোনো কারণে মারা যেতে পারেন। তবে আত্মহত্যার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আমরা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলাও করা হয়েছে।
আজাদীর ছোট ভাই মো. আবদুল আলিম জানান, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। গত চার বছর ধরে ওই হোটেলেই তিনি থাকতেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, এক সময় জাকির হোসেন আজাদী ইত্তেফাকে সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। এরপরে আরও কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন এবং অনেক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশও নিতেন। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। ময়নাতদন্ত শেষে জাকির হোসেন আজাদীর মরদেহ সোমবার রাতে সাতক্ষীরায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে নেয়ার কথা ছিল। সেখানেই রাতে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলেও জানান তার ছোটভাই আবদুল আলিম।
সাংবাদিক জাবিক হোসেন আজাদী দৈনিক মুক্ত খবরের ‘আনন্দ খবর’ পাতায় লিখতেন। তিনি গীতিকবি হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছাকে নিয়ে তিনি গান রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। কর্পোরেট সংবাদ নামক একটি পোর্টালে তিনি কাজ করতেন। এছাড়া দৈনিক সমাচার পত্রিকায় তিনি স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট হিসেবেও কাজ করতেন।