দীর্ঘদিন পর মহাসমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে একইদিন মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরত্বে তিন দলের পৃথক এ কর্মসূচিতে নিজেদের শক্তির জানান দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সব দলই সেদিন সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। নেতাকর্মীদের দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা। এ কর্মসূচি নিয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে, জনমনেও দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলো একইদিনে কাছাকাছি স্থানে কর্মসূচি পালন করলে সংঘাত সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহনশীলতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। এ অবস্থায় যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ওইদিন বড় শোডাউন করবে দলটি। পাশাপাশি প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থায় থাকবে। এর বাইরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হবে সতর্ক পাহারা। প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মোড়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কে শামিয়ানা টানিয়ে সকাল থেকে অবস্থান করবেন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর সঙ্গে দলীয় সংসদ-সদস্য ও কাউন্সিলরাও তাদের অনুসারীদের নিয়ে মাঠে অবস্থান নেবেন।
অন্যদিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশে বড় ধরনের জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এজন্য সারা দেশের নেতাকর্মীদের তিন দিন আগেই ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে। তবে সতর্ক থেকে শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি সফলের জন্য সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে।
এ মহাসমাবেশ থেকে চূড়ান্ত কর্মসূচি দেওয়ার কথা রয়েছে। যা তফশিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত লাগাতারভাবে পালনের কথা রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও এদিন প্রায় একই দাবিতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতও। এজন্য তাদেরও ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। ওইদিন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিএনপি সমমনা অন্তত ৩৭ রাজনৈতিক দলও মহাসমাবেশ করবে। তাই কী হবে ২৮ অক্টোবর-সেদিকেই এখন সবার চোখ।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া যুগান্তরকে বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার (আজ) আমাদের (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের) একটি বিশেষ বর্ধিত সভা আছে। আমরা কী করব সেখানেই তা চূড়ান্ত করা হবে। ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। রাজপথেই থাকব। আন্দোলনের নামে কেউ কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা নৈরাজ্য করার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি কখনো সংঘাতে বিশ্বাস করে না। যা প্রতিটি কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা প্রমাণ করেছেন। অতীতের মতো এ মহাসমাবেশও হবে শান্তিপূর্ণ। দেশে যে সংকট চলছে, এটা একটা জাতীয় সংকট। এ সংকটের সমাধান না হলে দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, জনগণের বাক-স্বাধীনতা এবং ভোটাধিকারসহ সব মৌলিক অধিকার চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে। এ কারণে রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ডান-বামসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল ও জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু সাত দিন পর থেকে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফশিল ঘোষণা করা হবে-এমন ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এখনো নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে পরস্পরবিরোধী অনড় অবস্থানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে অনড় ক্ষমতাসীন দল। অন্যদিকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি ও জামায়াতসহ বিরোধী অনেক রাজনৈতিক দল। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের যাচ্ছে দলগুলো। যা ওইদিন একযোগে পৃথক মহাসমাবেশ থেকে ঘোষণার কথা রয়েছে।
মাঠ দখলে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের : ২৮ অক্টোবর রাজনীতির মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি থাকবে। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকেও ঢাকা নিয়ে তীক্ষè নজর রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের আশঙ্কা-ওইদিন বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে বিএনপি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই কৌশল সাজাচ্ছেন তারা। দলটির নেতাদের কাছে সতর্ক অবস্থানের পাশাপাশি প্রথম নির্দেশনা হচ্ছে কোনো ধরনের সহিংসতায় না জড়াতে।
তবে কর্মসূচি ঘিরে যদি কেউ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে পালটা জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ক্ষমতাসীনদের। যদি অবস্থান কর্মসূচির মতো বসে পড়ে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শক্তি প্রয়োগ করবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও। এজন্য নগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২৮ অক্টোবর ঘিরে বিএনপি যে স্বপ্ন দেখছে, সেই স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিতে হবে। ঢাকা শহর থাকবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের দখলে। স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। এই রাজধানী ঢাকায় সারা বাংলাদেশ থেকে যে সন্ত্রাসীদের ঢুকিয়েছেন, ঢাকাবাসীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ওই সব সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করা হবে।
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভাও হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশেষ বর্ধিত সভা ডেকেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এ সভা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও নগর কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এছাড়া আগামীকাল বুধবার তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হবে মতবিনিময় সভা।
ওইদিন ঢাকায় বিএনপির গতিবিধি কী হবে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা জানান, যে কোনো ধরনের সহিংস কর্মসূচির বিষয়ে মাঠে থাকতে বলা হয়েছে নেতাকর্মীদের। এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কাজ করছে। কারও দিক থেকে সন্দেহজনক কোনো তৎপরতার তথ্য পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ২৮ অক্টোবর তথাকথিত সমাবেশের নামে জনমনে ভীতি সঞ্চার করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিকামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগের নেতাকার্মীরা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও স্থিতিশীল পরিবেশ কোনোভাবে ব্যাহত হতে দেবে না।
আগেভাগেই ঢাকায় আসার নির্দেশনা বিএনপির : সরকার পতনের একদফা দাবিতে নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি। এজন্য বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। বিভিন্ন টিম গঠন করে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। নেতারা মনে করেন, মহাসমাবেশে বড় জমায়েত করতে পারলে তাদের জনসমর্থন সবাই প্রত্যক্ষ করবে। এতে সরকারের ওপর বিদেশিদের চাপ আরও বাড়বে। এদিকে সমাবেশে আসার পথে যেন বাধার মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য নেতাকর্মীদের তিন দিন আগেই ঢাকায় আসার নির্দেশনা দিয়েছে দলটি।
সূত্রমতে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে সাংগঠনিক ১০ বিভাগে একটি করে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমন্বয় কমিটিতে কেন্দ্রীয় নেতারা রয়েছে, যারা এখন সব সাংগঠনিক জেলা সফর করছেন। এ টিম সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা থেকে কর্মী-সমর্থকদের ঢাকায় আসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। সে অনুযায়ী সারা দেশে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, নেতাকর্মীদের বাধাহীনভাবে ঢাকায় আসতে হলে কমপক্ষে তিন দিন আগে ঢাকায় আসতে হবে। যে কারণে নেতাকর্মীদের সুবিধামতো ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে। বিশেষ কোনো কাজ না থাকলে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকায় আসতে হবে।
নেতারা আরও জানান, মহাসমাবেশকে সামনে রেখে সরকার নানা প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে পারে, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে সারা দেশ থেকে ঢাকায় আসতে যত ধরনের কৌশল আছে, তা গ্রহণ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ নয়াপল্টনের বাইরে অন্য কোথাও করবেন না। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এ মহাসমাবেশ থেকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে।
বিএনপির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, নয়াপল্টনের এ মহাসমাবেশ হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড়। আশা করছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করবে।
বড় শোডাউনের প্রস্তুতি জামায়াতে ইসলামীর : একইদিন মহাসমাবেশের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও। তারা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এ সমাবেশ সফলে ব্যপাক প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। এজন্য দলটির নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে চিঠি দেবে। দলটি মহাসমাবেশের মাধ্যমে আবারও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি ছিল গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর। সেদিন জামায়াতও গণমিছিল করেছিল। পরে বিএনপির অনাগ্রহে দলটি আর যুগপৎ কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে কোনো কর্মসূচি দেয়নি। তবে প্রায় একই দাবিতে জেলা ও মহানগরে একাধিকবার কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াত।
সোমবার দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভা হয়। এতে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকা মহানগরীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে সুশৃঙ্খলভাবে সমবেত হয়ে একদফা দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে সরকারের কোনো ধরনের উসকানি, অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নির্বাহী পরিষদ দেশবাসী এবং সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানায়।’
একটি সূত্র দাবি করেছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক জমায়েত, মানুষের অংশগ্রহণ ও সর্বোপরি সরকারকে দাবি মানাতে বাধ্য করতে রাজপথে দুই দলের সমন্বিত অবস্থানের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব। একই সঙ্গে একাধিক ‘বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্র’ও এ ব্যাপারে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে। এ নিয়ে দুদলের নেতাদের মধ্যে কথা হয়েছে বলেও ওই সূত্র নিশ্চিত করেছেন। যুগান্তর