বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দকে বাসা থেকে আটকের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে গেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উত্তরা ১৪ নং সেক্টরের ১৮ নং সড়কে তার বাসা থেকে আটক করা হয়েছে বলে জামায়াতের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পুলিশ তাকে আটক করে বাসা থেকে নিয়ে গেছে। মতিউর রহমান আকন্দ শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেদিনই এমআরআই করেছে। বুধবার হাসপাতালে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে গেছে।
আশরাফ ইমন জানান, পুলিশের এমন অন্যায় ও বেআইনি আচরণের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে তার সুচিকিৎসার স্বার্থে পরিবারের কাছে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
‘জামায়াতে ইসলামীকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না’ মর্মে একটি বেসরকারি অনলাইন চ্যানেলে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াত। সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের উদ্ভাবিত একটি পদ্ধতি, যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী তার সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী আগামী ২৮ অক্টোবর শনিবার রাজধানী ঢাকা মহানগরীর শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে সহায়তা চেয়ে পুলিশ কমিশনারের নিকট লিখিতভাবে অবহিত করেছে। পুলিশের দায়িত্ব হল শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা, বাধা দেয়া নয়। আমরা লক্ষ্য করছি, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জামায়াতে ইসলামীকে ‘স্বাধীনতা বিরোধী, অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল’ আখ্যায়িত করে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না মর্মে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক, এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনি। আমরা পুলিশের এই কর্মকর্তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”