রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির হওয়ার কথা রয়েছে।
এর সঙ্গে বিচারাধীন বিষয় উপেক্ষা করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবির অভিযোগে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটিও ছিল শুনানির জন্য। গত ১৯ অক্টোবর আদালত এ তারিখ দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর ও আহসানুল করিম। জামায়াতের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জিয়াউর রহমান।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করা রিটকারী তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন (রিটকারী) সম্প্রতি দুটি আবেদন করেন। একটি আবেদনে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
আরেকটি আবেদনে বিচারাধীন বিষয় উপেক্ষা করায় দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার অরাজি জানানো হয়। গত ২৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন দুটি উপস্থাপন করা হয়।
সেদিন চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। সে ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট আবেদন দুটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। এর মধ্যে ৪২ ব্যক্তি আবেদন দুটিতে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন।