বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয়নি। বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ দেশটির জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, আমরা একদলকে বাদ দিয়ে অন্য দলকে সমর্থন করি না। আমরা শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর পাঠানো সর্বশেষ চিঠির বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ডোনাল্ড লু। কিন্তু যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলের বেশির ভাগ নেতা জেলে, কমপক্ষে পাঁচজন গার্মেন্টস শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে, তখন কিভাবে সংলাপ হবে? তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সরকার দমনপীড়ন চালিয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে, এমন প্রেক্ষাপটে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কে ওই চিঠি গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে একটি সংলাপ হতে পারে? এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার যুক্তরাষ্ট্রের ওই অবস্থান তুলে ধরেন। অন্য একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ। এখানকার শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে।
তারা অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র যখন মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখছে, তখন বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব আশাবাদী। কেন বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনা করতে হয়?
তার এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বহুবার বলেছি যে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি আমরা। আমরা মনে করি বাংলাদেশে সরকারের বিষয়ে ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে জনগণ।