সিলেটে প্রথমবার হামলার শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ করার পর ৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিপক্ষের ফের হামলায় খুন হয়েছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী।
সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরীর বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ছাত্রলীগকর্মী আরিফ (১৯) নগরীর টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে।
আরিফ সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তিনি ছাত্রলীগ সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, থানায় অভিযোগ করে বাড়ি ফেরার ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে আরিফকে টিভি গেইট এলাকায় গোয়ালীছড়া ওয়াকওয়েতে ধরে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আরিফের মাসহ স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরিফ।
আরিফের মা আখি বেগম যুগান্তরকে জানান, শাহপরান থানার ওসির গাফিলতির কারণেই তার ছেলে খুন হয়েছেন। খুনের প্রায় ৪ ঘণ্টা আগে আগের হামলার জন্য ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার ছেলেকে একই আসামিরা আবারও হামলা চালিয়ে খুন করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে শাহপরান থানার ওসি আবুল খায়ের যুগান্তরকে বলেন, ১৫ নভেম্বর আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার রাত ১০টার দিকে আখি বেগম একটি অভিযোগ করেছেন। তা যাচাই বাছাই করে মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড করা হয়েছে।
পুলিশের গাফিলতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার পর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু তার আগেই আরিফের ওপর আবারও হামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ইলিয়াস শরিফ জানান, ঘটনাটি অনাকাঙিক্ষত। যারাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার জানান, এর আগে আরিফ কিংবা তার পরিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। তবে পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।