বগুড়ার শেরপুরের মান্দাইল গ্রামে বুধবার রাতে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুল মতিন (৫৫) নামের এক নেতাকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করে সরিষাখেতে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি নাশকতা মামলার আসামি হওয়ায় বাড়িতে থাকেন না। বুধবার দুপুরে তিনি বাড়িতে গিয়ে শীতের জামাকাপড় নিয়ে আসেন।
জানা যায়, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় সদস্য এবং গরু ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন একটি নাশকতা মামলার আসামি হওয়ায় পর থেকে বাড়িতে থাকেন না। একপর্যায়ে গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে শেরপুর থেকে বাড়িতে গিয়ে শীতের জামাকাপড় নিয়ে চলে আসেন। দুর্বৃত্তরা বুধবার রাতের যেকোনো সময় তাকে মাথায় ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করে ওই গ্রামের একটি সরিষাখেতে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মতিনের চাচাতো ভাই জহরুল ইসলাম জানান, সকালে ওই গ্রামের শ্রমিকরা ধান কাটতে গিয়ে সরিষাখেতে আব্দুল মতিনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি নাশকতা মামলা হয়েছে। সেই মামলার ৬৪ নম্বর আসামি। তাকে আসামি করাতে সেদিন থেকেই আর রাতে বাড়িতে থাকে না। বুধবার সন্ধ্যায় বাজারে চা খেয়ে শেরপুরে যাওয়ার জন্য একটি ব্যাটারিচালিত অটো ভাড়া করেন; কিন্তু সেই সময় তাকে কে যেন তার মোবাইলে ফোন করলে একটু দেরি করে। দেরি হওয়াতে অটোচালক তাকে বাজারে রেখে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরে তিনি বাজার থেকে চলে যান। সকালে মতিনের লাশ সরিষার জমিতে পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবু কুমার সাহা বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য দ্রুত উদঘাটন করতে কাজ চলছে।