ফাঁকা মাঠে সরব আওয়ামী লীগ, পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপি

কুমিল্লায় অনেকটা ফাঁকা মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নৌকার মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তফশিল ঘোষণার পর কেবল গোল দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারা। অন্যদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি নেতারা।

যদিও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এ এলাকায় পালটে যেতে পারে ভোটের চিত্র। সেক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে ভোটে লড়তে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় এবং হেভিওয়েট প্রার্থীদের মনোনয়নের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিএনপিবিহীন নির্বাচনে সব আসনেই আওয়ামী লীগের যে কোনো প্রার্থীরই অনায়াসে জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। কুমিল্লায় একাধিক আসনে জাতীয় পার্টিরও হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে। প্রার্থী রয়েছে জামায়াত, এলডিপিসহ অন্য দলেরও।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমীন বলেন, ১৫ বছরে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এতে জনসাধারণের কাছে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে কুমিল্লার ১১টি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে আমি আশাবাদী। কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, সরকার দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে।

জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্যই বিএনপিবিহীন নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে সরকার। জনগণের কাছে তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্যই আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা ভোটে যাব। কুমিল্লার ১১টি আসনে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হবেন বলে আমার বিশ্বাস।

কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) : এ আসনে আওয়ামী লীগের নেতাদের মাঝে গৃহবিবাদ আছে। বিএনপি নির্বাচনে গেলে যোগ্য প্রার্থীর অভাবে এ আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হতে পারে। এ আসনে তিনবারের এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া এবারও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন।

তিনি ছাড়াও নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান খান জয়। বিএনপি নির্বাচনে গেলে এ আসনে হেভিওয়েট নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রার্থী হতে পারেন। জাতীয় পার্টিরও হেভিওয়েট একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি এবং জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আমির হোসেন ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জায়েদ আল মাহমুদ মাখন সরকার এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার আহসান হাসান।

কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) : এ আসনে এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইছেন। তিনি ছাড়াও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন মেঘনা উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকুল আলম এবং হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ। এ আসনে বর্তমান এমপি মেরী ও মজিদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক দ্বন্দ্ব এবং আধিপত্যের লড়াই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও বিভক্ত। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে হাতছাড়া হতে পারে এ আসন। এ আসনেও প্রার্থী হতে পারেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) : এ আসনে দুইবারের এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ এলাকায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার দাবি নিয়ে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান। তিনি ছাড়াও নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের ছোট ভাই কেএম মুজিবুল হক। জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন মো. আকতার হোসেন ও আলমগীর হোসেন।

কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) : এ আসনে দুইবারের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইছেন। বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এ আসনে হেভিয়েট প্রার্থীর বিপরীতে তিনিই যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। তিনি ছাড়াও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা ইকবাল হোসেন রাজু।

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) : সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর এ আসনে উপনির্বাচনে এমপি হন বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম খান।

তিনি ছাড়াও এ আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুছ ছালাম বেগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এহতেশামুল হাসান ভূইয়া রুমি, বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু সালেক মো. সেলিম রেজা সৌরভ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুর ছোট ভাই আব্দুল মমিন ফেরদৌস, বঙ্গবন্ধু সেটেলাইটের পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল, প্রয়াত মতিন খসরুর সহধর্মিণী সেলিমা সোবহান খসরু প্রমুখ।

বিএনপি নির্বাচনে গেলে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জসিম উদ্দিন এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান।

জাতীয় পার্টির প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম। জামায়াতে ইসলামীর ড. মোহাম্মদ মোবারক হোসেন এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রার্থী হতে পারেন।

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর) : বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এ আসনে বর্তমান এমপি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহার এবারও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। তিনি ছাড়াও নৌকার মনোনয়ন চান প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের মেয়ে সংরক্ষিত এমপি প্যানেল স্পিকার আঞ্জুম সুলতানা সীমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিকদার ও যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রুবেল।

অন্যদিকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াছিন ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। এছাড়া কুমিল্লা মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ইয়ার আহমেদ সেলিম এবং জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ন মুন্সি নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) : এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন এমপি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকিম আশরাফ টিটু। চান্দিনায় ৪০ বছর বিনামূল্যে অবহেলিতদের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের সংগঠিত করেছেন ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। এ আসনে এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদকে ভোটের মাঠে মোকাবিলার জন্য প্রাণ গোপালের বিকল্প কোনো প্রার্থী দেখছে না আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রেজা খোকন।

কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) : এ আসনের বর্তমান এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এবারও নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি ছাড়াও বেশ কয়েক নেতা নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। তারা হলেন সাবেক এমপি আব্দুল হাকিমের ছেলে এএনএম মইনুল ইসলাম। বর্তমান এমপি নজরুলের সঙ্গে মইনুলের রয়েছে আধিপত্যের লড়াই।

নির্বাচনের আগে কোন্দল না মিটলে আসনটি হাতছাড়া হতে পারে আওয়ামী লীগের। উল্লিখিত দুজন ছাড়াও এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চাইছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এসকিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান এজেডএম শফিউদ্দিন শামীম ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) আবু তাহের। এদিকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিভক্তির সুযোগ নিতে পারে বিএনপি।

কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের সিগন্যাল পেলে ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন সাবেক এমপি জাকারিয়া তাহের সুমন। জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, জাতীয় পার্টির নেতা তোরাব আলী নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া ওলামা পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ইফরান বিন তোরাব আলী রয়েছেন প্রার্থীর তালিকায়।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) : দীর্ঘদিন বিএনপির দখলে থাকা এ আসনে বর্তমান এমপি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সর্বোচ্চ চারবার এ আসনে এমপি নির্বাচিত হওয়া দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজুল ইসলাম এবারও চাইছেন নৌকার মনোনয়ন। তিনি ছাড়াও নৌকার মনোনয়ন চান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মান্নান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ নুরনবী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন ফারুক।

এ আসনে দীর্ঘদিন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম ও কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামের মধ্যে বিরোধ অনেকদিনের। বিএনপি নির্বাচনে গেলে উল্লিখিত দুজন ছাড়াও ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ড. রশীদ আহমদ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক। জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে পারেন ড. গোলাম মোস্তফা।

কুমিল্লা-১০ (লালমাই-নাঙ্গলকোট) : এ আসনের বর্তমান এমপি অর্থমন্ত্রী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি ছাড়াও নৌকার মনোনয়ন চান সাংবাদিক নঈম নিজাম, নাঙ্গলকোট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদার, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু সোহেল ও রোশন আবেদিন।

নির্বাচনে গেলে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভূঁইয়া ও বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করতে চান জোনাকী মুন্সি। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মুন্সীর স্ত্রী।

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) : এ আসনে বর্তমান এমপি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এবারও নৌকার মনোনয়ন চান।

তিনি ছাড়াও নৌকার মনোনয়ন চান চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস ছোবহান ভূইয়া হাসান, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দিন সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রশিদ বুলু ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার রেজা। বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা এবং জাতীয় পার্টি থেকে আলমগীর কবির মজুমদার মনোয়ন চাইবেন। এর বাইরে এ আসনে সাবেক এমপি জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।