ইসলামপন্থী রাজনীতিতে পরিচিত দলগুলোর সিংহভাগই এখনও নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়নি। ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দল এখনও নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
এর বাইরে জামায়াতে ইসলামীর নেতারাও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলে আসছেন। অন্যদিকে ইসলামপন্থী যে কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, ভোটের মাঠে তাদের প্রভাব খুবই কম। যে সাতটি দল এরই মধ্যে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।
কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক যে দুটি দল নির্বাচনে যাচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর। এখন তাঁর ছেলে আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এই দলের আমির। আরেকটি দল ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনী। এখন তাঁর ছেলে আবুল হাসানাত আমিনী এই দলের চেয়ারম্যান। গত বৃহস্পতিবার রাতে দল দুটির শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর গণভবনের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করেছেন। সেদিন ৯টি ইসলামী দলের নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনে ৪৪টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত। এর মধ্যে ইসলামপন্থী দল ১১টি।