সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট এবং জামায়াতে ইসলামীর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে দেশব্যাপী।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ডের পর থেকে দেশব্যাপী চার দফা হরতাল ও আট দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও জামায়াতে ইসলামী।
আজ থেকে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক রাজপথ-রেলপথ-নৌপথে অবরোধ কর্মসূচি সফলে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। সরকারের একতরফা নির্বাচন দেশের জনগণ হতে দেবে না। বিজয়ের মাসেই হয়তো আমরা আরেকটি বিজয়ের সুখবর পাব।’
এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একদলীয় ও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে। জনগণ জুলুমবাজ আওয়ামী সরকারকে বিশ্বাস করে না। তাদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় আসা একেবারেই অসম্ভব। তাই তারা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ফরমায়েশি তফশিল ঘোষণা করিয়েছে। দেশবাসী আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে আনার তথাকথিত তফশিল মানে না।’
পৃথক বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদও অবরোধ সফলের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়াও আজ থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ ধারায় আন্দোলনরত ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, নুরুল হক নুর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ, ড. রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম (মন্টু), পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টিসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
অবরোধের সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে আমার বাংলাদেশ পার্টি।
কাল ঢাকায় বিক্ষোভের ডাক ইসলামী আন্দোলনের: আগামীকাল সোমবার ঢাকায় বিক্ষোভ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
এক বিবৃতিতে দলটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের নামে তামাশা বন্ধ করতে হবে। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। একতরফা পাতানো নির্বাচন দেশে নতুন সংকট তৈরি করবে।
অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।