সাতদিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইল। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৭০০ ফিলিস্তিনি ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছে। সব মিলিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪০ হাজার। খবর আল-জাজিরার।
মুহুর্মুহু বোমা হামলায় প্রতিনিয়তই প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ ফিলিস্তিনি। ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়িসহ আবাসিক স্থাপনা। এর মধ্যেই গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এ অবস্থায় যে যেভাবে পারছেন প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছেন। তবে পালানোর সময়ও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে।
গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধ না হলে নতুন করে আর বন্দি বিনিময় আলোচনা করবে না বলে জানিয়েছে হামাস। আল-জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠীটির এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকলে কোনো আলোচনা নয়।
এদিকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলা থামাতে কাতার ও মিশর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। তবে কাতারের সে আলোচনা ভেস্তে গেছে বলে জানা গেছে।
এ পরিস্থিতির জন্য একে অপরকে দুষছে হামাস ও ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রও হামাসের দিকেই আঙ্গুল তুলেছে। আর যুদ্ধবিরতির অবসান গাজার জনগণের জন্য দুঃস্বপ্ন বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালানো শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। পাল্টা ইসরাইলি বাহিনীও লেবানেন সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে।
পশ্চিমতীরেও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ঘর বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থায় উচ্ছেদকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খুব শিগগিরই তাদের এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।