বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার যশোরের যুবদল নেতাকে হাসপাতালে চিকিৎসার সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চিকিৎসার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
ভুক্তভোগী কারাবন্দি ওই যুবদল নেতার নাম মো. আমিনুর রহমান। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি। রোববার অসুস্থ আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এর আগে সকালে আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ওই যুবদল নেতার সুচিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়। আমিনুর রহমানের স্ত্রী নাহিদা সুলতানা এ রিট করেন।
২৯ নভেম্বর কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মো. আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনা হয়।
এ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে পড়ে শোনান সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। সেদিন আদালত এ বিষয়ে আবেদন নিয়ে আসতে বলেছিলেন।