সাতক্ষীরার আলোচিত সমালোচিত নেতা তৃর্ণমুল বিএনপি প্রাথী খলিলুল্লাহ ঝড়ুর ইন্তেকাল

ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা জন সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খলিলুল্লাহ ঝড়ু ইন্তেকাল করেছেন । ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন। আজ রাতে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় ফেরার পথে পথিমধ্যে গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি এসি কোচে স্টক করে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তিনি সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার মৃত খাইবার সরদারের সন্তান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

খলিলুল্লাহ ঝড়ু ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন । আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন । খলিলুল্লাহ ঝড়ু চুকনগর বাজারের অদূরে অবস্থিত সাতক্ষীরা সি ফুডসের স্বত্তাধিকারী। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন খুলনা শহরে বসবাস করতেন।

সোমবার রাতে ঢাকা থেকে খুলনায় আসার সময় পথিমধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।খলিলুল্লাহ ঝড়ু সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ সায়রের মরহুম গোলাম খায়বার সরদারের ছেলে।

ঝড়ুর এক ভাই সাতক্ষীরার মানুষের কাছে মুর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিত সাইফুল্লাহ কিসলু ছিল ইমদাদুল হক বুড়ো হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। আর এক ভাই একরামুল্লাহ বাবু ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গাড়ি ছিনতাই করে পালানোর সময় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ছোট ভাই ছোটনের। কথিত আছে তাকে ঠেলে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়। এভাবে বিভিন্ন ঘটনা অঘটনের মধ্য দিয়ে ৮ ভাইয়ের ৬ জনের পর ঝড়ুও মারা গেলেন।

পিতা গোলাম খায়বার সরদারও তার মৃত্যুর পূর্বে সংবাদ সম্মেলন করে তার পুত্রদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ আনেন। তার পিতার সেই সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যের শুরুটা ছিল “এই সমাজ, এই রাষ্ট্র, আমার সন্ত্রাসী পুত্রদের বিচার করবে কী না, তা আমি জানি না। রাষ্ট্র বিচার করুক আর না করুক আপনারা (সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা) সমাজের বিবেক। আপনারা আমার সন্ত্রাসী ছেলেদের কলঙ্কিত চরিত্র জাতির সামনে তুলে ধরুণ। সমাজ যেন তাদের ঘৃণা করে। সমাজের সহজ সরল মানুষ যেন তাদেরকে বয়কট করে। আর কোন পিতার ঔরসে যেন এমন দুর্র্ধষ সন্ত্রাসীর জন্ম না হয়। পিতা হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে এ আমার প্রাণের দাবি।”
২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই নিজের ঔরসজাত সন্ত্রাসী পুত্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছিলেন সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ সায়ের এলাকার বাসিন্দা শতবর্ষী খায়বার সরদার (বর্তমানে মৃত)। ঐ সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন তার জামাই পটুয়াখালি শহরের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেন ও নাতি ফিরোজ হোসেনসহ অনেকেই।

Check Also

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পথ অনুসরণ করছে ছাত্রদল : শিবির সভাপতি

ছাত্রদল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পথ অনুসরণ করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।