ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলমকে প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এ খবর। সর্বত্র আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডিসি’র প্রত্যাহার। কি কারণে তিনি প্রত্যাহার হলেন,সেটিও জানার চেষ্টা সবার।
আজ রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তাকে প্রত্যাহারের চিঠি পাঠানো হয়। কমিশনের উপ-সচিব মো: মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে জেলা প্রশাসক প্রত্যাহার প্রসঙ্গে বলা হয়-‘উপর্যুক্ত বিষয়ে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে জেলা প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তার কর্মস্থল হতে প্রত্যাহারের জন্যে মাননীয় নির্ব্চান কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। বর্নিতাবস্থায় উল্লেখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করত: তার স্থলে অভিজ্ঞ ও যোগ্য কর্মকর্তাকে পদায়নের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করার জন্যে নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা গেল।’
মো: শাহগীর আলম ২০২২ সালের ১৩ই জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোনয়ন বাতিল হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের দেয়া একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিসি প্রত্যাহার হয়েছেন। সপ্তাহখানেক আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন শেখ ওমর ফারুক। এবিষয়ে কথা বলতে ওমর ফারুকের মোবাইল নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও সারা পাওয়া যায়নি। তবে ফিরোজুর রহমান বলেছেন- ‘এটা কেন হয়েছে আমি জানি না।
এবিষয়ে এখন কিছু বলতে পারবোনা ফাইল না দেখে। তবে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ৩টি দরখাস্ত করেছিলাম। স্যার যদি একটা দরখাস্তও দেখতো তাহলে আমার এটা বাতিল হয় না, আইনানুযায়ী হতো। ৩টি দরখাস্তের মধ্যে একটি করেছিলেন আমার সমর্থনে স্বাক্ষর প্রদানকারীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানোর বিষয়ে। ২য় আবেদন ছিলো এক পার্সেন্টের কাগজ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এবং তৃতীয়টা হচ্ছে ওই ছেলেকে (সমর্থনকারী) নিয়ে লেখানোর বিষয়ে।
গত ৩রা নভেম্বর বাছাইয়ে ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলম তার মনোনয়ন বাতিলের কারণ সম্পর্কে জানান-ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী শতকরা ১ ভাগ ভোটারের ১০ জনের ১ জনের স্বাক্ষর নেই।
ফিরোজুর রহমান সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রথমে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী হন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র জমা দেন।