গাজীপুরে রেললাইন উপড়ানোর মূল পরিকল্পনাকারীদের শিগগির চিহ্নিত করে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, আমরা মনে করি মাস্টারপ্ল্যানার যারা, সবাইকেই আমরা আইডিন্টিফাই করবো। শিগগিরই আমরা ধরতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি। রেললাইন উপড়ে ফেলা সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা দেশকে ভালোবাসে তারা এই কাজটি করতে পারে না। বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে আপনারা দেখেছেন ওই জায়গাটি এমন এলাকা যেখানে জনমানুষ থাকে না, জনবসতিও নাই। একটা কুয়াশার রাত ছিল। যাই হোক যেভাবে হোক দুর্ঘটনাটা ঘটেছে। এজন্য দুটি তদন্ত টিম তাৎক্ষণিক দেয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ১৪ সনে আপনারা অগ্নিসন্ত্রাস দেখেছেন। তখনও রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছিল। সেটাও দেখেছেন। জানমালের ক্ষতি তো হয়েছে, নিরীহ মানুষকেও হত্যা করা হয়েছে। সেসব দৃশ্য দেখেছেন। এবারও আমরা সেটি লক্ষ্য করছি। তারা শুধু গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে না, রেললাইনও উপড়ে ফেলেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং সাতজন গুরুতর আহত অবস্থায় আছে। তারা মনে করে তারা একটি অসাংবিধানিক ওয়েতে কীভাবে আবার ষড়যন্ত্র করে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে আরেকটি সরকার পতন করা যায় কি না, সেটারই প্রচেষ্টায় তারা এগুলো করছে। এ দেশের জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এটা তারা স্পষ্ট জেনেছে। সে জন্যই নির্বাচন না করে তারা ঘটনার অবতারণা ঘটাচ্ছে। আমরা মনে করি এদেশের জনগণ এসবগুলোর সঠিক জবাব দেবে ইনশাআল্লাহ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাড়িতে যতগুলো অগ্নিসংযোগ হয়েছে সবগুলোকেই ধরা হয়েছে। এখন অগ্নিসংযোগের একটা নতুন মাত্রা তারা তৈরি শুরু করেছে। রাস্তার টোকাইদের তিন হাজার, দুই হাজার বা পাঁচ হাজার করে এরা কন্টাক্টে নিয়ে যায় এবং যারা নিয়ে যাচ্ছে টোকাইরা তাদের নাম আমাদের বলছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ইতোমধ্যে ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেছে। বাসের অগ্নিসংযোগ যারাই করছেন হয় আমাদের জনতার কাছে ধরা পড়ছেন কিংবা আমাদের তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।