বরগুনায় নৌকার মঞ্চে বক্তব্য দিয়ে আলোচিত বিএনপি নেতা মতিউর রহমান ওরফে রাজাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। নাশকতা মামলায় আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের বাওয়ালকার গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মতিউর রহমান বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তিনি জেলা বিএনপির (হালিম-নজরুল কমিটির) সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া বরগুনা জেলা শ্রমিক দলের বাতিল হওয়া সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন তিনি। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।
শম্ভুর মঞ্চে নাশকতা মামলার পলাতক আসামি বিএনপির নেতা, ভোট চাইলেন নৌকায়
গতকাল রোববার সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনের নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নির্বাচনী সভামঞ্চে বক্তব্য দেন মতিউর রহমান। তিনি ওই মঞ্চে অঙ্গীকার করেন, বদরখালী ইউনিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ভোট নৌকায় দেওয়া হবে, নয়তো ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি অব্যাহতি নেবেন। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, মামলার হাত থেকে বাঁচতেই নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তবে এই বক্তব্য দেওয়ার পরদিনই তিনি গ্রেপ্তার হলেন।
বরগুনা সদর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত নভেম্বরে সরকার পতনের দাবিতে বিএনপির ডাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের ওই মামলার মতিউর রহমান একজন আসামি। মামলার বাদী বরগুনার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ জানান, সদর থানার এসআই নুরুজ্জামান মামলাটি তদন্ত করছেন।
বরগুনা বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ৫০
বরগুনা জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল আলম বলেন, ‘মতিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, মতিউর রহমান বদরখালী ইউনিয়নের বাওয়ালকার এলাকায় অবস্থান করছেন। তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমরা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’