স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সরকার বুঝতে পেরেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। তাই সরকার ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার এক অদ্ভূত থিউরি আবিষ্কার করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সরকার বাংলাদেশকে চূড়ান্তভাবে বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে সব ধরনের বন্দোবস্ত করেছে। ৭ জানুয়ারির প্রহসন ও পাতানো নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে বর্জন করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
স্বৈরাচারী সরকারের ভয়-ভীতি অগ্রাহ্য করে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অপরকে বিরত রাখতে তৎপরতা চালাতে হবে। ভোট প্রদানে সরকারকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা যাবে না। ভোটাধিকার হরণকারী ও গণতন্ত্র ধ্বংসকারী জালিম সরকারের সাথে সকল ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ভাগাভাগির নির্বাচন বর্জন করতে হবে এবং বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করতে হবে।
গতকাল বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াত আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঠাকুরগাঁও জেলা আমীর মাওলানা আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি আলমগীরের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, ঠাকুরগাঁও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরো বলেন, আমরা আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সৎ ও যোগ্য লোক তৈরির জন্য আমাদেরকে নিয়মিত কুরআন-হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করতে হবে। সহযোগী সদস্যদের মান বৃদ্ধির জন্য জামায়াতের বৈঠকসমূহে নিয়মিত যেতে হবে। আমাদেরকে আল্লাহর আইনের জন্য সময় এবং অর্থের কুরবানি দিতে হবে। সেই সাথে নিজের জানকে ইসলামী আন্দোলনের জন্য পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। নামাযকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আগে নামায, তারপরে অন্য কাজ। এই বিষয়টির প্রতি অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। গরিব-অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি শাহাদাতের তামান্না নিয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করার আহ্বান জানান।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আমাদেরকে আত্মগঠন, মান উন্নয়ন, সংগঠন-শৃঙ্খলা বুঝে কাজ করতে হবে। তিনি সরকারের নতুন শিক্ষা কারিকুলামের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান সরকার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দীনবিমুখ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে দেশ থেকে ইসলামের তাহজিব-তমুদ্দুন বিতাড়ণের ব্যবস্থা করেছে। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নীতি-নৈতিকতাহীন দুর্নীতিবাজ নাগরিক তৈরি করবে, যা জাতির জন্য অশনি সংকেত। তিনি সহযোগী সদস্যদের কর্মী হিসেবে গড়ে উঠতে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।