নিজস্ব প্রতিনিধি: টানা দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে সাতক্ষীরা সদর আসনের চার লাখেরও অধিক মানুষের অধিকার হরণ করেছে মনোনয়ন বঞ্চিত এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এজন্য এবার দল থেকে তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। তারপরেও অর্থলোভী এই মানুষটি তার রাজত্ব কায়েমে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। এজন্য দলমত নির্বিশেষে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সাধারণ জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে কলঙ্কময় রবি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়ন আ’লীগের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে মহাজোট প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশুর নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন তারা।
সভায় ফিংড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌকার প্রত্যাহারকৃত প্রার্থী মো: আসাদুজ্জামান বাবু। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাজোটের প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ, শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান ফারুক, সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফম তারেক উদ্দীন, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান, জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সদর উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুমসহ আরও অনেকে।
এসময় বক্তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের সতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি আওয়ীমী লীগের দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরপরই সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে নিজের লোকদের বসিয়ে নিয়োগ ও এমপিও বাণিজ্য করেছেন। নিজের বোন, পিএ, সিএ এমনকি ছাতা ধরা কর্মচারীকেও করছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। এদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কেন ঘুষ দিয়ে চাকরি করতে হবে? প্রশ্ন তুলে বক্তারা বলেন, যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। সেখানে দুর্নীতিগ্রস্থ রবি জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মে নাম লিখিয়েছেন। শুধু নিয়োগ বাণিজ্যতে তিনি থেমে থাকেননি বরং গণশৌচাগারে সাধারণ মানুষ টয়লেট করতে গেলেও এমপি রবি সেখান থেকে ১০ চাঁদা আদায় করেছেন। তার কারনে সদর উপজেলার নিমাই চন্দ্র সর্বোচ্চ হারিয়ে টেনশনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এজন্য নিমাইয়ের মতো আর কোন জনগণকে যাতে এমপি রবির অনিয়ম দূর্নীতির কবলে পড়ে মৃত্যু মুখে পতিত হতে না হয় সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে মনোনয়ন দেননি। কেননা, ১০ বছরের আমলনামা প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে রয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে লাল কার্ড দিয়েছেন। আর আগামী ৭ জানুয়ারি দলমত নির্বিশেষে মহাজোটের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশুর লাঙ্গল প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরা সদর আসনের জনগণ কলঙ্কময় রবি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাবে।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …