রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় দায়ের হওয়া ৯টি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এসব মামলায় জামিন পেলেও কারাগারেই থাকতে হচ্ছে মির্জা ফখরুলকে।
রমনা থানার এক মামলা ও পল্টন থানার অপর মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
এ দুই মামলায় জামিন না পাওয়ায় বিএনপি মহাসচিবকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবা।
এর আগে বুধবার বিকালে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার পৃথক ৯ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে রমনা থানার ৩টি এবং পল্টন থানার ৬ মামলায় জামিন পেয়েছেন এ বিএনপি নেতা।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
ফখরুলের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নয়টি মামলায় তার জামিনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন বেলা পৌনে ১২টার দিকে কারাগার থেকে ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিনই আদালত বলেন, শুনানিতে ফখরুলের স্বশরীরে উপস্থিতি জরুরি নয়।
শুনানি চলার সময়ে মামলাগুলোতে ফখরুলকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। আর ফখরুলের আইনজীবী আসাদুজ্জামান তার জামিন চান। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক দুপুর ১টার ৫০ মিনিটের দিকে আদেশ দেন।
এর আগ প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার জামিন মেলেনি বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার সকালে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ৯টি মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) সম্প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।