দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে কিছু নেতা-কর্মী সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে কার্যালয়ের বন্ধ গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময়ে নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় রিজভী বলেন, আমাদের যুবদলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তাণ্ডব শুরু হয়। গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ এক নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলো। এই দুই মাসের অধিক সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং পাশে ভিড়লেও তাদেরকে আটক করে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ তালা মেরে এই কার্যালয়ের চাবি নিয়ে যায়। কত নাটক করেছে। তারপরে গেট বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। সবই গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা দেখেছেন… জানেন। আমরা আমাদের প্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন ঢুকেছি। পুলিশের কাছে চাবি চাওয়ার পরেও আমাদেরকে চাবি দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, পরে আমাদের কর্মীরা তালা ভেঙে এই কার্যালয়ে প্রবেশ করে।
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সেই দিনের তাণ্ডবের পর আপনারা দেখেছেন আপনাদের চোখের সামনে তালা লাগিয়ে পুলিশ চাবি নিয়ে যায়। এরপর কত নাটক ওরা করেছে।
আমরা পুলিশের কাছে চাবি চেয়েছিলাম। সেটা তারা দেয়নি।দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দল বার বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অত্যন্ত সুনামের সাথে, দক্ষতার সাথে। সেই দলের প্রধান কার্যালয় একটি মাফিয়াতন্ত্র, একটি মাফিয়া সরকার বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং পুলিশ চাবি না দেয়াতে তালা ভেঙে আমরা ঢুকেছি।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন পুরো কার্যালয় কী ভয়ংকর ধুলোবালি জমেছে। এটা এখন আমাদের পরিষ্কার করতে হবে। বিকাল তিনটায় আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ এই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেন। নিজেদের মধ্যে নিজেরা নির্বাচন করেন। নিজেদের জয়, নিজেদের পরাজয় এককভাবে ওদের নিজের জয়।